লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ায় পুকুর থেকে জনি চন্দ্র দাশ (১৮) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের কুসাঙ্গের পাড়া মহবোধি বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন পুকুর থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। জনি চন্দ্র দাশ একই ওয়ার্ডের ভবানীপুর ধুপি পাড়ার সুনীল চন্দ্র দাশের পুত্র ও মধ্যম বড়হাতিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। মাসখানেক আগে থেকে বড়হাতিয়া মনুফকির হাট বাজারে জনি একটি লন্ড্রি পরিচালনা করত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুকুরে একটি ভাসমান লাশ দেখতে পান। এরপর জনৈক শিমুল বড়ুয়া নামে একজন জনি চন্দ্র দাশের পরিবারকে খবর দেন। পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তার লাশ শনাক্ত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের পিতা সুনীল চন্দ্র দাশ জানান, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে কে বা কারা তার ছেলে জনি চন্দ্র নাথকে মোবাইলে ফোন করে দোকান থেকে বের হতে বলে। এরপর থেকে তার ছেলে আর বাড়ি কিংবা দোকানে আসেনি। মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি ধারণা করেছেন, বন্ধুদের সাথে কোথাও বেড়াতে গেছে।
পরদিনও ফিরে না আসায় আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু কোথাও ছেলেকে পাওয়া যায়নি। পরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তার ছেলের লাশ পাওয়া যায়। প্রায় তিন মাস পূর্বে তার মা বীণা বালা দাশও জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
নিহতের ছোট ভাই অভি চন্দ্র দাশ জানায়, সেও মধ্যম বড়হাতিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। লেখাপড়ার পাশাপাশি তার বড় ভাইয়ের লন্ড্রির দোকানে সহযোগিতা করত। ঘটনার দিন শনিবার রাত ৮টার দিকে কে বা কারা ফোন করে তার ভাইকে ব্রিজের পাশে যেতে বলে। তবে কোন ব্রিজের পাশে যেতে বলেছে জানে না। কিছু না বলে তার ভাই দোকান থেকে বের হয়ে যায়। রাত ১০টায়ও তার ভাই ফিরে না আসায় সে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়।
এদিকে খবর পেয়ে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকারিয়া রহমান জিকু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওসি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর থেকে একটি ভাসমান লাশ উদ্ধার করে। লাশের শরীরে পচন ধরেছে। লাশের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
