দুই বছর পর কারাগার থেকে বেরিয়ে আবার ইয়াবা ব্যবসায়

২০১৯ সালে আত্মসমর্পণ

টেকনাফ প্রতিনিধি | সোমবার , ২৪ মে, ২০২১ at ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

জামিনে আসা আত্মসমর্পণকারী মাদক কারবারি শাহ আজম (২৮) ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। তিনি টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো. জামালের ছেলে। টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ গতকাল রোববার হ্নীলা রঙ্গিখালী এলাকায় মাদক বিরোধী সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৪ জন নারী-পুরুষকে আটক করে। এদের মধ্যে ছেলে শাহ আজম ও পিতা ইউপি সদস্য মো. জামালসহ টেকনাফের ১০২ জন চিহ্নিত মাদক কারবারি ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের উপস্থিতিতে আত্মস্বীকৃত মাদক কারবারি হিসেবে আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় দুই বছর পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে কারাগারে থেকে বের হন আজম। জামিনের মাস তিনেক পার না হতেই ফের ইয়াবাসহ ধরা পড়লেন।
আটক সহযোগীরা হচ্ছেন হ্নীলা উলচামারী এলাকার মৃত আবুল হোসাইন প্রকাশ বাবুর পুত্র মো. দেলোয়ার হোছাইন (২৫), আনোয়ার হোছাইন (২৮) ও একই এলাকার সেলিমের মেয়ে ছমিরা আক্তার (২৪)।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের একটি দল হ্নীলা রঙ্গিখালী এলাকা থেকে ৪ মাদক কারবারিকে আটক করে। তাদের হেফাজতে থাকা ১০ দশ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে।

তিনি বলেন, ইয়াবাসহ আটক ৪ নারী-পুরুষের মধ্যে শাহ আজম নামের একজন আত্মস্বীকৃত আত্মসমর্পণকারী মাদক কারবারি। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সাবরাং ইউনিয়নের মুন্ডার ডেইল ঘাটে দুই লাখ পিস ইয়াবা লুটপাট নিয়ে খবর প্রচার হয়। চলে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন। সেখানেও জামিনে আসা আত্মসমর্পণকারী মাদক কারবারি সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার দানু ও শাকের মাঝির নাম উঠে আসে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচবির ভর্তি পরীক্ষা দুই মাস পেছাল
পরবর্তী নিবন্ধপাইকারিতে বেড়েছে চালের দাম