পাইকারিতে বেড়েছে চালের দাম

সরবরাহ সংকটের অজুহাত

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৪ মে, ২০২১ at ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

বোরো ধান ওঠার প্রভাবে এক মাস ধরে নিম্নমুখী ছিল চালের বাজার। তবে গতকাল থেকে নগরীর পাইকারি বাজারগুলোতে চালের দাম বস্তায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার মিল মালিকদের কাছ থেকে মোটা চাল কেনার কারণে অন্য চালের ক্রাশিং কমে গেছে। ফলে বর্তমানে বাজারে অন্যান্য দেশী চালের সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। ভোক্তারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক অজুহাতে দাম বৃদ্ধি করে থাকেন। ব্যবসায়ীদের কাছে অনেক সময় প্রশাসনও অসহায় হয়ে পড়ে। নগরীর দুই বৃহৎ পাইকারি চালের আড়ত চাক্তাইয়ের চালপট্টি ও পাহাড়তলীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় সব ধরণের চালের দাম বস্তায় সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। সাধারণত চট্টগ্রামের বাজারে জিরাশাইল সিদ্ধ, নাজিরশাইল সিদ্ধ, মিনিকেট সিদ্ধ, মিনিকেট আতপ, কাটারিভোগ সিদ্ধ, কাটারিভোগ আতপ, বেতি আতপ, পাইজাম সিদ্ধ মোটা সিদ্ধ চালের বেশিরভাগ যোগান আসে উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর এবং কিশোরগঞ্জের আশুগঞ্জ থেকে।
চালের আড়তদাররা জানান, বর্তমানে দেশী নাজিরশাইল সিদ্ধ প্রতি বস্তায় ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮৫০ টাকায়। এছাড়া পাইজাম সিদ্ধের দাম বস্তায় ৫০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩৫০ টাকা, পাইজাম আতপ ৫০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৬৫০ টাকা, স্বর্ণা সিদ্ধ বস্তায় ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ টাকা এবং মোটা সিদ্ধ ৫০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ টাকায়। অন্যদিকে মিনিকেট সিদ্ধ ১০০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪৫০ টাকা এবং বেতী আতপ (আটাশ) ৫০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২৫০ টাকা, মিনিকেট আতপ ১০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৪০০ টাকা, জিরাশাইল সিদ্ধ ১০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৬৫০ টাকা, মোটা আতপ ৫০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮৫০ টাকায়। অপরদিকে গত কয়েকদিনের ব্যবধানে বেড়েছে ধানের দামও। বর্তমানে প্রতিমণ ধানের দাম ১০০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকায়।
চট্টগ্রাম রাইচ মিলস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রফিক উল্লাহ বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে দেশী চালের সরবরাহ কমে গেছে। এছাড়া ধানের দামও বেড়েছে। সরবরাহ সংকটের কারণে মূলত চালের দাম উর্ধ্বমূখী রয়েছে।
জানতে চাইলে পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএম নিজাম উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, সরকার মিল মালিকদের সাথে মোটা চাল কেনার চুক্তি করেছে। চুক্তি অনুযায়ী সরকারকে চাল সরবরাহ দিতে ব্যস্ত মিলাররা। ফলে অন্যান্য দেশী চাল ক্রাশিং কম হচ্ছে। এর প্রভাবে বাজারে চালের সরবরাহও কমে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে। আজ (গতকাল) থেকে প্রায় সব ধরণের চালের দাম বস্তায় ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই বছর পর কারাগার থেকে বেরিয়ে আবার ইয়াবা ব্যবসায়
পরবর্তী নিবন্ধমুক্তি পেলেন রোজিনা