ঈদের সময় সর্বোচ্চ সংখ্যক সিনেমা মুক্তির বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন ধরেই চলছিল আলোচনা। ১৫৩টি প্রেক্ষাগৃহে ঈদে মুক্তি পায় ১১টি সিনেমা। দেশে প্রেক্ষাগৃহ সংকটের মধ্যে একসঙ্গে এত বেশি সিনেমা মুক্তির বিষয়টি প্রথম থেকেই ব্যবসায়িক ঝুঁকি হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছিলেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। মাত্র পাঁচদিনের মাথায় তার প্রমাণও মিলল। দর্শক চাহিদা না থাকার কারণে স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার ও লায়ন সিনেমাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে চারটি সিনেমা। সিনেমাগুলো হল কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘গ্রিনকার্ড’, ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘আহারে জীবন’, জসিম উদ্দিন জাকির পরিচালিত ‘মায়া: দ্য লাভ’ ও ফুয়াদ চৌধুরী পরিচালিত ‘মেঘনা কন্যা’।
গ্লিটজকে স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সিনেপ্লেক্স থেকে তিনটি সিনেমা নামিয়ে ফেলেছি। সিনেমাগুলো দর্শক তেমন পছন্দ করেনি। দর্শক খরা ছিল। ১০–১৫টা টিকেট বিক্রি করে একটা শো চালিয়ে তো লাভ নেই। যেগুলো চলছে না সেগুলো নামিয়ে দর্শক চাহিদা আছে যেসব সিনেমার, সেগুলোর শো বাড়িয়েছি। কারণ আমরা চাই না হল ফাঁকা যাক।একই সুর লায়ন সিনেমা হলের কর্ণধার মির্জা আব্দুল খালেকের। তিনি গ্লিটজকে বলেন, আমার এখানে কোনো সিনেমারই দর্শক ভালো নেই। হলে ১০টা সিনেমা চালাচ্ছিলাম। ৪টা সিনেমার একদমই দর্শক নেই। না পেরে শো নামিয়ে দিলাম। একদমই আশানুরূপ দর্শক পাইনি।