দগ্ধ গৃহবধূকে নেওয়া হলো ঢাকায়

রাঙ্গুনিয়ার ঘটনা

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২২ নভেম্বর, ২০২০ at ৪:৩০ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়ায় স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ ইয়াছমিন আকতারকে (৩০) ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রাত ৯টার দিকে তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক সার্জন চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। ইয়াছমিনের বাবা হারুনুর রশিদ জানিয়েছেন, তার মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, আগুনে ইয়াছমিনের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। পা-উরুসহ নিচের অংশ প্রায় পুরোটাই পুড়ে গেছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে স্ত্রীকে পেট্রোল ঢেলে আগুনে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার স্বামী মো. রাসেলকে গতকাল সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন ইয়াছমিন বলেন, কদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আমি ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যেতে চাই। কিন্তু স্বামীর বাধায় যেতে পারিনি। রাতে আমার বাচ্চা ঘুমালে সে এসে আমাকে মারধর করে। এ সময় আমার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমার মাকে ফোন দিয়ে বলে ‘তোর মেয়েকে জ্বালিয়ে দিলাম। পারলে পুলিশ নিয়ে আয়। আমার কি করতে পারস দেখি’।
উল্লেখ্য, রাঙ্গুনিয়ার কোদালা ইউনিয়নের গোয়ালপুরা গ্রামের সন্দ্বীপপাড়ার বাসিন্দা মো. রাসেল। বৃহস্পতিবার রাতে যৌতুক নিয়ে স্ত্রী ইয়াছমিনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে ইয়াছমিনের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় রাসেল। এ ঘটনায় ইয়াছমিনের বাবা হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনামে স্টাফ কোয়ার্টার দখল সন্ত্রাসীদের
পরবর্তী নিবন্ধচবি ছাত্রলীগ সভাপতির বহিষ্কার চেয়ে ২৯১ নেতাকর্মীর বিবৃতি