মো. আরমান। সন্দ্বীপের কালাপানিয়া চৌধুরী বিদ্যানিকেতনের ১০ম শ্রেণির ছাত্র। পড়ালেখার পাশাপাশি ইলেকট্রনিক কাজ করতো সে। এলাকায় সবাই অনেক নম্রভদ্র হিসেবে জানে তাকে। গত ১২ ডিসেম্বর কালাপানিয়া মাদরাসার মাহফিলে কাজ করতে গিয়ে প্রথমে ইলেকট্রিক শর্ট খায়, তারপর সেখানে উত্তপ্ত তেলের পাতিলে পরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মুহূর্তের মধ্যেই পুড়ে যায় সমস্ত শরীর।
বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছে। চিকিৎসা করার সামর্থ্য না থাকায় অসহায় ছেলেটির পরিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতার আকুতি জানায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পেরে ছেলেটির চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে এসেছে ইরামন ফাউন্ডেশন। দেশের স্বনামধন্য শিল্প পরিবার ইয়ুথ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও ইরামন ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আকবর হায়দার মুন্না তাৎক্ষণিক ইরামন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেয়ার ঘোষণা দেন।
২৪ ডিসেম্বর (শুক্রবার) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসারত আরমানের পরিবারে হাতে ইরামন ফাউন্ডেশনের পক্ষে অনুদানের ৫০ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার লিজিং এন্ড ফিন্যান্স লিমিটেড আগ্রাবাদ শাখা প্রধান ও সন্দ্বীপ এডুকেশন সোসাইটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ শাহজামান আরজু, কালাপানিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান আরমান, সাংবাদিক অপু ইব্রাহিম, ক্রীড়া সংগঠক আসাদুজ্জামান মিঠু, অগ্নিদগ্ধ আরমানের মামা আবদুল কাদের প্রমুখ।
অগ্নিদগ্ধ আরমানের মা ফাতেমা বেগম বলেন, আমরা ভাবতে পারিনি আল্লাহর অসীম রহমতে মানুষ এভাবে আমাদের পাশে দাঁড়াবেন। ইরামন ফাউন্ডেশনের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।
প্রিমিয়ার লিজিং এন্ড ফিন্যান্স লিমিটেড আগ্রবাদ শাখা প্রধান ও সন্দ্বীপ এডুকেশন সোসাইটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ শাহজামান আরজু বলেন, ইরামন ফাউন্ডেশনকে অনেক ধন্যবাদ। ইরামন ফাউন্ডেশন যেভাবে অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সমাজের বিত্তবান ও সামাজিক সংগঠনগুলো অসহায় মানুষের বিপদে এভাবে এগিয়ে আসলে তাহলে কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না।
ইরামন ফাউন্ডেশনের সদস্য আবির ইসলাম বলেন, ইরামন ফাউন্ডেশন পুরো বাংলাদেশব্যাপী গরীব অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে। আগামিতেও ইরামন ফাউন্ডেশন বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকবে।