ত্রিশালের ছয় যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড

| মঙ্গলবার , ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালের পলাতক ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গতকাল সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণা করে। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেনবিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। খবর বিডিনিউজের।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি হলেনমো. মোখলেসুর রহমান মুকুল, সাইদুর রহমান রতন, শামসুল হক ফকির, নুরুল হক ফকির, সুলতান মাহমুদ ফকির ও নাকিব হোসেন আদিল সরকার। দণ্ডিত এই আসামিদের মধ্যে মুকুল, রতন ছিলেন স্থানীয় মুসলিম লীগ নেতা। পরে তারা পাকিস্তানি বাহিনীর সমর্থনে শান্তি কমিটি গঠন করেন এবং রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। এছাড়া আসামি শামসুল হক, নুরুল হক, সুলতান মাহমুদ ও নাকিব হোসেন আদিলও রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হন বলে উঠে এসেছে এ মামলার বিচারে।

এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিশাল এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, হত্যা এবং হিন্দুদের নিপীড়নের মত ছয় ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে বীর মুক্তিযাদ্ধা আব্দুল হামিদ হেমনকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় ছয় আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মৃত্যু পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলা হয়।

প্রশিকিউশনের পক্ষে এ মামলায় শুনানি করেন প্রশিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও তাপস কান্তি বল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম ও গাজী এম এইচ তামিম।

এ মামলার অভিযোগপত্রে আসামি ছিলেন মোট ৯ জন। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন দুজন। তারাসহ মোট তিনজন মামলার বিচার চলাকালে মারা যান। পরে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর পর তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রশিকিউশনের মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় এ মামলায়। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখা হয়েছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমদানি কমায় পাইকারিতে বাড়ছে গরম মসলার দাম
পরবর্তী নিবন্ধ২৪ জানুয়ারি আজ চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস