আমদানি কমায় পাইকারিতে বাড়ছে গরম মসলার দাম

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ

সরবরাহ সংকটের কারণে’ পাইকারীতে ফের বাড়ছে গরম মসলার বাজার। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের মাসলার দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পরিমাণ বেড়েছে। তবে সে তুলনায় মসলা আমদানি কমেছে। ভোক্তারা বলছেন, পাইকারিতে মসলার কোনো ধরনের সংকট নেই জানি। এসব মসলা বিরিয়ানি কিংবা পোলাও জাতীয় খাবারে বেশি ব্যবহৃত হয়। তারপরেও দাম বাড়ছে। গতকাল চাক্তাইখাতুনগঞ্জের পাইকারি মসলার বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২২০ টাকায়। যা গত দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে এক হাজার ১২০ টাকায়। জিরা বিক্রি হচ্ছে ৫৯০ টাকায়; দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকায়। এছাড়া গোল মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়; দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৫৫০ টাকায়। অপরদিকে দুই সপ্তাহ আগে দারুচিনি বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা; বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০৫ টাকায়। লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১ হাজার ৩৫০ টাকায়, যা দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে এক হাজার ২৫০ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের কয়েকজন আড়তদার জানান, আমাদের দেশে প্রায় সব ধরনের মসলা আমদানি করতে হয়। এলাচ আসে গুয়েতেমালা থেকে। এছাড়া বাকিসব পণ্য ভারত থেকেও আসে। মসলার বাজার দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমুখী ছিল। তবে বর্তমানে ব্যবসায়ীদের মসলার মজুদ শেষ হয়ে আসছে। অন্যদিকে সেই তুলনায় আমদানি হচ্ছে না। যার ফলে বাজারও এখন বাড়তি। বর্তমানে অনেক ব্যাংকই ঋণপত্র (এলসি) খোলার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। যার ফলে মসলা আমদানি পর্যাপ্ত পরিমাণে করা সম্ভব হচ্ছে না। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় আমাদের দেশে এখনো মসলার দাম কম আছে।

জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের মসলা আমদানিকারক হাজী জসিম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন বলেন, এখন আমদানিকারকরা আগের মতো মসলা আমদানি করতে পারছেন না। তাই বাজারে সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। তবে এখনো আমাদের দেশের মসলার দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় কম রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটপসয়েল কাটায় কমছে আবাদি জমি
পরবর্তী নিবন্ধত্রিশালের ছয় যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড