তিন মাস পর উৎপাদনে সিইউএফএল

গ্যাস সংকটে বন্ধ হওয়ার শঙ্কা

আনোয়ারা প্রতিনিধি | শনিবার , ২৫ মার্চ, ২০২৩ at ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ

চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (সিইউএফএল) দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উৎপাদনে গেল। প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীদের মাঝে স্বস্তি ফিরলেও গ্যাস সংকটের গ্যাঁড়াকলে পড়ে আবারো উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার শংকাও রয়েছে। আর তখন দেশে সার সংকট দেখা দিতে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কারখানা বন্ধ করার তাগিদ দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

 

সিইউএফএল সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত এ কারখানাটির দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১৭শ মেট্রিকটন। বর্তমানে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে এ প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষমতা নেমে এসেছে দৈনিক ১০ থেকে ১১ হাজার মেট্রিক টনে। একটা কারখানা স্বাভাবিকভাবে ২০ বছর পর্যন্ত চলতে পারে। কিন্তু সিইউএফএল সার

কারখানার বয়স ৩৫ বছরের বেশি হয়ে যাওয়ায় পুরনো কারখানাটির বিভিন্ন যন্ত্রাংশে ত্রুটি দেখা দিচ্ছে বার বার। ফলে মেরামত ব্যয়ও বেড়েছে গেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এসব ব্যয় সম্পন্ন করা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। গত বছরের ২২ নভেম্বর কারখানায় আগুন লাগার পর থেকে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ৩ মাস টানা বন্ধ থাকার পর মেরামত কাজ শেষ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কারখানাটির উৎপাদন শুরু হয়।

সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘টানা ৩ মাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে কারখানাটির উৎপাদন শুরু হয়। কিন্তু এরই মধ্যে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কারখানা বন্ধ করার তাগিদ দিতে শুরু করেছে। যদি গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ হয় তাহলে

দেশে সার সংকট দেখা দিতে পারে। বর্তমানে সারাদেশে ২৬ লাখ মেট্রিক টন সারের চাহিদা রয়েছে। তার মধ্যে গত বছর সিইউএফএল যোগান দেয় ২ লাখ ৪৭ হাজার মেট্রিক টন। কারখানা চালু থাকলে এ বছর আমরা ৩ লাখ মেট্রিক টন যোগান দিতে পারব আশা করছি।’ তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে সারের

নিরাপত্তা মজুদ ৮ লাখ মেট্রিক টন থাকার কথা। সেখানে ৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি সার নেই। তাই আমাদের সারের নিরাপত্তা ঘাটতিও রয়েছে। বিসিআইসির অধীনে থাকা সার কারখানাগুলো ১৩/১৪ লাখ মেট্রিক টন সার উৎপাদন করলেও চাহিদার বাকি সার সরকার আমদানি করে থাকে। এসব বিষয় বিবেচনা করে সিইউএফএলের সার উৎপাদন অব্যাহত রাখতে গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখা অতীব জরুরি বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজেলা-উপজেলা হাসপাতালে নিয়োগ হচ্ছে আনসার
পরবর্তী নিবন্ধসবজির বাজার চড়া