তদন্ত কমিটি, ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

বাস চাপায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খানকে প্রধান করে সাত সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এতে চুয়েট, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। গতকাল নগরীর সার্কিট হাউসে আয়োজিত এ সংক্রান্ত একটি বৈঠকে এমন তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চুয়েট কর্তৃপক্ষ, ছাত্র প্রতিনিধি, বাস মালিক সমিতি, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে জেলা প্রশাসনের এই বৈঠক হয়। সভায় ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

বৈঠকে জেলা প্রশাসক বলেন, নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া আহত শিক্ষার্থী ৩ লাখ টাকা পাবেন। কালকের মধ্যেই আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্রসহ ফরম পূরণ করে পাঠাব। স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা সেই টাকা পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে পারব বলে আশা করছি। এছাড়া বাস মালিক সমিতি নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে ২ লাখ টাকা ও আহতকে ১ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আহত শিক্ষার্থীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।

তিনি বলেন, কাপ্তাই রাস্তা সম্প্রসারণ কাজ ১ মাসের মধ্যে শুরু হবে। এছাড়া রাস্তায় যেন বেপরোয়া গাড়ি চালাতে না পারে সেজন্য স্পিড ব্রেকার দেওয়া হবে। এছাড়া যানবাহনের ফিটনেস, রুট পারমিটসহ সবকিছু আছে কিনা তা দেখার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

সভায় পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, এই ঘটনায় জড়িত শাহ আমানত বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। দ্রুতই তাদের গ্রেপ্তার করা যাবে বলে আশা করছি।

চুয়েট উপাচার্য ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, শীঘ্রই চুয়েটে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া এক মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন দুটি বাস সংযোজন করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদুই মেধাবী শিক্ষার্থীর চলে যাওয়া ও কাপ্তাই সড়কে চলাচলের নিরাপত্তা
পরবর্তী নিবন্ধউত্তাল চুয়েট, সড়ক অবরোধ