ড. মইনুল ইসলামের কলাম

| বৃহস্পতিবার , ১১ মার্চ, ২০২১ at ৭:৪২ পূর্বাহ্ণ

মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নব-নির্বাচিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী সিটি কর্পোরেশনের ধার্য বর্ধিত কর প্রদানের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন, ‘সেবা চাইলে কর দিতেই হবে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন গৃহকর বাড়ায়নি, শুধু বিভিন্ন এজেন্সির দেয় করহার বাড়িয়েছে’। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে গৃহকরের হারও বাড়াতে হবে, কিন্তু তার আগে তাঁকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে ভূতপূর্ব মেয়রের সময় যেভাবে গৃহকর বাড়ানো হয়েছিল তা একটি ভুল অধ্যাদেশের ভিত্তিতে করতে গিয়ে ঐ সময় ব্যাপক আন্দোলন সৃষ্টি হয়েছিল। অতএব, এ-ব্যাপারে কিছু করতে হলে প্রথমে সকল সিটি কর্পোরেশনের গৃহকরের সামঞ্জস্য বিধানকল্পে নতুন আইন প্রণয়ন প্রয়োজন হবে। বক্ষ্যমাণ কলামে বিষয়টি বোঝানোর প্রয়াস নিয়েছি।
১৩ অক্টোবর ২০১৭ তারিখের দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার লীড নিউজ হিসেবে যে চাঞ্চল্যকর খবরটা প্রকাশিত হয়েছিল তাহলো, দেশের ১১টি সিটি কর্পোরেশনে মোট ৬ ধরনের গৃহকরের হার বলবৎ রয়েছে, যেখানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে বার্ষিক সর্বনিম্ন ১২ শতাংশ, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনেও ১২ শতাংশ, খুলনা সিটি কর্পোরেশনে ১৬ শতাংশ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ১৭ শতাংশ, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনেও ১৭ শতাংশ, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে ১৯ শতাংশ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ২০ শতাংশ, রংপুর সিটি কর্পোরেশনেও ২০ শতাংশ এবং রাজশাহী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ২৭ শতাংশ হারে গৃহকর আদায় করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু, এই ছয় রকমের গৃহকরের হারের ফলে রাজশাহী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের করদাতারা অন্য নয় নগরীর করদাতাদের চাইতে বেশি পরিমাণ গৃহকর দিচ্ছেন বলে ধারণা করলে সেটা সঠিক হবে না। এমনকি চট্টগ্রামের করদাতাগণ ঢাকার করদাতাদের চাইতে বেশি গৃহকর দিচ্ছেন কিনা তা-ও সঠিকভাবে বলা যাবে না। কারণ, এই ১১টি সিটি কর্পোরেশনে বাড়ির ভ্যালুয়েশনে কোন ইউনিফর্ম পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় না। ফলে, রাজশাহী বা বরিশালে বাড়ির ভ্যালুয়েশন কম হলে ঐ ভ্যালুয়েশনের ২৭ শতাংশ গৃহকরের পরিমাণ ঢাকা বা চট্টগ্রামের চাইতে কম হতে পারে। তবে, এটুকু বলা যেতে পারে যে বাংলাদেশের ১১টি সিটি কর্পোরেশনের গৃহকর নির্ধারণ ও আদায়ের পদ্ধতিগুলোতে কোনরকম সামঞ্জস্য বিধান করা হয়নি, এবং এই ব্যাপারে প্রকৃতপক্ষে একটা চরম নৈরাজ্য বিরাজ করছে। অতএব, অবিলম্বে দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনের গৃহকর নির্ধারণ পদ্ধতিকে ইউনিফর্ম পদ্ধতিতে নিয়ে আসার জন্যে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন (বা কমিটি) গঠন করে কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃক অবিলম্বে সংসদে একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ এখন ফরজ হয়ে গেছে। কারণ, এখন ১৯৮৬ সালের ‘দি সিটি কর্পোরেশন ট্যাঙেশন রুলস্‌’ অনুসরণে এই এগারোটি সিটি কর্পোরেশনের যেখানেই গৃহকর নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়া হবে সেখানেই করদাতাদের তোপের মুখে পড়তে হবে কর্তৃপক্ষকে।
আরো তাৎপর্যপূর্ণ হলো, এই এগারোটি সিটি কর্পোরেশনের কোনটিতেই গৃহকরের হার নির্ধারণের ভিত্তি হিসেবে বাড়ি ভাড়ার আয়কে এখনো ব্যবহার করা হয় না। অথচ, ১৯৮৬ সালের ’দি সিটি কর্পোরেশন ট্যাঙেশন রুলস’ অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছিল দেশের তদানীন্তন চারটি সিটি কর্পোরেশন–ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের জন্যে। অধ্যাদেশ জারির ৩৫ বছর পার হয়ে গেলেও দেশের রাজধানী ঢাকাসহ কোন নগরেই যে বাড়িভাড়ার আয়ের ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণের ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হয়নি এই খবরটা কি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জানা নেই? এখন প্রকাশিত খবরগুলোতে দেখা যাচ্ছে, খোদ ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে বাড়ির মেঝের আয়তন বর্গফুটের ভিত্তিতে হিসাব করে প্রতি বর্গফুট চার টাকা থেকে শুরু করে ষোল টাকা ধরে সম্পত্তির ভ্যালুয়েশন নির্ধারণ করে ঐ ভ্যালুয়েশনের ওপর ১২ শতাংশ হারে এদ্দিন পর্যন্ত গৃহকর নির্ধারণের নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে মোট চারজন মেয়র দায়িত্ব পালন করেছেন: মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মীর নাসির উদ্দিন, মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং মনজুর আলম। তাঁদের মেয়াদকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে মোট তিনবার গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে, প্রতিবারই বাড়ির মেঝের আয়তন বর্গফুটের ভিত্তিতে ভ্যালুয়েশন করে গৃহকর বর্ধিত করা হয়েছে। প্রতিবারই নব-নির্ধারিত গৃহকর পুরাতন গৃহকরের চাইতে কয়েকগুণ বেশি নির্ধারিত হলেও এগুলো নিয়ে এই ২৯ বছরে ব্যাপক প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আন্দোলন পরিদৃষ্ট হয়নি, কারণ ঐ বর্ধিত গৃহকরের পরিমাণ কোনবারই করদাতাদের কাছে অস্বাভাবিক ও অসহনীয় বিবেচিত হয়নি। প্রাক্তন মেয়র মনজুর আলমের সময় বাড়ির যে ভ্যালুয়েশন করা হয়েছে তা-ও বাড়ির মেঝের আয়তনের ভিত্তিতে হিসাব করে ঐ ভ্যালুয়েশনের ১৭ শতাংশ গৃহকর নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে, মহিউদ্দিন চৌধুরীর সময়ের গৃহকরের চাইতে মনজুর আলমের সময়ের গৃহকরের পরিমাণ কয়েকগুণ বেশি হলেও তা করদাতাদের কাছে অসহনীয় মনে হয়নি। ২০১৫ সালে মেয়র নির্বাচনের সময় আ, জ, ম, নাছির উদ্দিন নির্বাচনী-ওয়াদা করেছিলেন যে তিনি তাঁর মেয়াদকালে গৃহকর বাড়াবেন না। কিন্তু, ২০১৬ সালে হঠাৎ তিনি ১৯৮৬ সালের ঐ অধ্যাদেশের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের ১১টি সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে প্রথম সিটি কর্পোরেশন হিসেবে বাড়িভাড়ার আয়ের ভিত্তিতে গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন শুরু করে দেন। ঐ সময় থেকে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাড়িভাড়ার জরিপ চালাতে গিয়ে অসংখ্য জোর-জবরদস্তির ঘটনা ঘটিয়েছেন, ঘুষ-বাণিজ্যের মাধ্যমে মনগড়া ভ্যালুয়েশন নির্ধারণ করেছেন, কাউকে অন্যায় সুবিধা দিয়েছেন, কাউকে আবার গলাকাটা ভাড়া দেখিয়ে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তারপর যখন নতুন হারে গৃহকর আদায়ের তোড়জোর শুরু হয়েছে তখন করদাতাদের ধুমায়িত ব্যাপক ক্ষোভ উত্তপ্ত বিক্ষোভ ও আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছিল। প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীও ঐ আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।
অথচ, ঐ প্রাথমিক পর্যায়েই ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর তারিখে দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত আমার কলামে আমি তদানীন্তন মেয়র মহোদয়কে উদ্দেশ করে জানিয়েছিলাম যে বিশ্বের কোথাও হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িভাড়ার আয়ের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় না। কারণ, হোল্ডিং ট্যাক্স প্রকৃতপক্ষে যেহেতু সম্পত্তি কর বা প্রোপার্টি ট্যাঙ তাই সারা বিশ্বের সকল সিটি কর্পোরেশনে প্রোপার্টি ট্যাক্সের একই নিয়মে এই কর আদায় করা হয়। নিয়মটি হলো: সারা বিশ্বে সম্পত্তি কর বা প্রোপার্টি ট্যাক্স আরোপ করা হয় সম্পত্তির ভ্যালুয়েশনের ভিত্তিতে। আর, সম্পত্তির ভ্যালুয়েশন করা হয় ঐ সম্পত্তির অবস্থান ও আয়তনের (বর্গফুট বা বর্গমিটার) ওপর ভিত্তি করে। নগরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে হোল্ডিং ট্যাক্সের হার প্রতি বর্গফুটে সবচেয়ে বেশি হবে, এর পরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে হোল্ডিং ট্যাক্সের হার প্রতি বর্গফুটে ক্রমেই কম নির্ধারণ করা হবে। এভাবে নগরীর কেন্দ্রে যে হারে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারিত হবে তা ক্রমশ কমতে কমতে শহরতলীগুলোতে হোল্ডিং ট্যাক্সের হার সর্বনিম্নে চলে আসবে। বাড়ির গুণগত মানের ভিত্তিতেও ভ্যালুয়েশন বেড়ে যাবে বা কমে যাবে। যেমন, মার্বেল পাথর বা টাইলসের মেঝে হলে প্রতি বর্গফুটে যে ভ্যালুয়েশন হবে মোজাইক মেঝে হলে তার চাইতে কম ভ্যালুয়েশন হবে। শুধু সিমেন্টের মেঝে হলে ভ্যালুয়েশন আরো কমে যাবে। টিনের ছাউনী পাকাঘর হলে ভ্যালুয়েশন একবারেই কমে যাবে। বেড়ার ঘর হলে হয়তো কোন গৃহকরই ধার্য হবে না। আমার ঐ কলামেই আমি তাঁকে আহ্বান জানিয়েছিলাম যে যেহেতু বাড়িভাড়ার আয়ের ভিত্তিতে বিশ্বের কোন দেশের কোন সিটি কর্পোরেশনে প্রোপার্টি ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয় না তাই সম্পত্তির আয়তন ও লোকেশনের ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণের পদ্ধতি অব্যাহত রাখা হোক। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত আমার কলামে আমি আবারো তাঁকে পুরো বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিলাম, কিন্তু কোন সুবিবেচনার পরিবর্তে বরং পুরো বিষয়টি নিয়ে তাঁকে রাগান্বিত হয়ে টেলিভিশনে পাল্টা বক্তব্য দিতে দেখা গিয়েছিল। একবার তিনি বললেন,‘এরা কেউ কোনদিন কোন ট্যাঙই দেয়নি, তাই এরা পানি ঘোলা করছে’। আরেকবার তিনি এক সমাবেশে বললেন,‘ গৃহকর নিয়ে এত হৈ চৈ করার কোন প্রয়োজন ছিল না। আপিল করলে ওটা কমিয়ে দেয়া হবে’। তাঁর এ ধরনের আক্রমণাত্মক মানসিকতা এবং ঢালাও বাক্যবাণ মোটেও গ্রহণযোগ্য ছিল না। আর, আপিল করে গৃহকর কমানোর কথা বলা মানে সিটি কর্পোরেশনের কর্তাব্যক্তি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ-বাণিজ্যের মহাযজ্ঞকে উৎসাহিত করা–এটা তাঁর জানার কথা। বাড়িভাড়ার যে জরিপ চালানো হয়েছিল ঐ জরিপে প্রচণ্ড ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তিনি কোনভাবেই সত্যটার মুখোমুখি হলেন না যে বাড়ীভাড়ার আয়ের ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণ করলে ‘ডবল ট্যাঙেশন অব ইনকাম’ হয়ে যাবে, যেটা বিশ্বের কোথাও করা হয় না। এই ব্যাপারটা নিয়ে জেদাজেদি করতে গিয়ে তাঁর জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছিল বলা চলে। ঐ সময় আমি নিজের উদ্যোগে ভারতের কোলকাতা নগরী থেকে ওখানকার গৃহকর নির্ধারণের পদ্ধতি সম্পর্কে খবরাখবর সংগ্রহ করে এনেছিলাম। কোলকাতা সিটি কর্পোরেশনেও সম্পত্তির অবস্থান, বাড়ির মেঝের আয়তন, বাড়ির গুণগত মান ইত্যাদি বিবেচনা করে হোল্ডিং ট্যাঙ নির্ধারণ করা হয়। ভারতের সকল সিটি কর্পোরেশনে নাকি একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
মাননীয় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি, তিনি নিজের উদ্যোগে কোলকাতা, দিল্লী এবং মুম্বা্‌ইয়ের মত সিটি কর্পোরেশনের গৃহকর পদ্ধতি সম্পর্কে খবরাখবর সংগ্রহ করে এ-ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেন। এরপর তাঁর দায়িত্ব হবে চট্টগ্রাম নগরীর নির্বাচিত মেয়র হিসেবে জনগণের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ১৯৮৬ সালের ‘দি সিটি কর্পোরেশন ট্যাঙেশন রুলস’ সংশোধনের জন্যে মন্ত্রণালয়কে যথাযথ আইন প্রণয়নের অনুরোধ জানানো। আমাদের সবার মনে রাখা উচিত, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচিত পার্লামেন্টের আইন প্রণয়ন ছাড়া কোন স্বৈরাচারী সরকারের খামখেয়ালির ফসল একটি ভুল অধ্যাদেশের ভিত্তিতে সিটি কর্পোরেশনগুলোর গৃহকর আদায়ের ‘তোগলকী জবরদস্তি’ সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। আমাদের সংবিধানে ্তুঘড় ঃধীধঃরড়হ রিঃযড়ঁঃ ৎবঢ়ৎবংবহঃধঃরড়হ্থ নীতি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অতএব, স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের কোন আমলার বা মন্ত্রীর উর্বর মস্তিষ্ক থেকে বাড়িভাড়ার আয়ের ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণের যে ধারণা বেরিয়ে এসেছে সেটাকে অপরিবর্তনীয় বিবেচনা করা ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের জন্যেও বড়সড় ভুল হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারত, দেশটি আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। ওখানকার সব সিটি কর্পোরেশনে যে নিয়মে হোল্ডিং ট্যাঙ আদায় করা হয় আমাদের দেশে সে নিয়ম অনুসরণ করলে অসুবিধে কোথায়? অতএব, ১৯৮৬ সালের ‘দি সিটি কর্পোরেশন ট্যাঙেশন রুলস’ যথাযথ সংশোধন করে একটি নূতন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়ার জন্যে আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
লেখক : একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর,
অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধকিডনি বিকল রোগীদের দুর্ভোগ লাঘবে আমাদের প্রত্যয় ও করণীয়
পরবর্তী নিবন্ধ‘৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালির মনের কথা’