ডিসেম্বরের মধ্যেই কক্সবাজার রুটে রেল যোগাযোগ শুরু হবে

আজাদী প্রতিবেদন

পলোগ্রাউন্ডে রেলওয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় রেলমন্ত্রী মাতারবাড়ীর সঙ্গেও রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে ।। আগামী বছরে শুরু হবে কালুরঘাট সেতুর কাজ | বৃহস্পতিবার , ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই চট্টগ্রামকক্সবাজার রুটে রেল যোগাযোগ শুরু হবে। মাতারবাড়ীর সঙ্গেও রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি আগামী বছরের শুরুতেই কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু হওয়ার কথা জানান তিনি।

গতকাল বুধবার সকালে নগরীর পলোগ্রাউন্ডে বাংলাদেশ রেলওয়ের ৪২তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইনের কাজ চলতি বছরের জুনজুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। কাজ আশাতীতভাবে এগিয়েছে। আমরা আশা করছি, এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব। তবে কোনো কারণে জুনজুলাইয়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে আরো একদুই মাস বেশি লাগতে পারে। সেই সময়টাকে ধরে নিয়েই আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারিচলতি বছরের মধ্যেই রেলে আমরা কক্সবাজার ভ্রমণ করতে পারব। মন্ত্রী আরো বলেন, কালুরঘাট সেতুর কাজও আগামী বছরে শুরু হবে।

রেলের লোকবল ঘাটতি পূরণে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রেলে যে লোকবল ঘাটতি ছিল তা পূরণ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রেল ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করার জন্য নতুন নতুন ইঞ্জিন, কোচসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রেলওয়েতে যোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া রেলওয়ে কারখানা আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। রাজবাড়ীতে কোচ কারখানা করা যায় কিনা, তার ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হচ্ছে। মাতারবাড়ীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্যও আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান। রেলওয়ে ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সভাপতি ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জি এম অসীম কুমার তালুকদার, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. বোরহান উদ্দিন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অর্থ) কামরুন নাহার, পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম, পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. কুদরতখুদা, ডিআরএম, চট্টগ্রাম মো. আবিদুর রহমান, পূর্বাঞ্চলের প্রধান বৈদ্যুতিক কর্মকর্তা অজয় কুমার পোদ্দার, দোহাজারীকক্সবাজার রেল লাইনের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. মফিজুর রহমান, রুহুল কাদের আজাদ, যুগ্ম মহাপরিচালক (যান্ত্রিক) ফকির মো. মহিউদ্দিন, পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ট্র্যাক) মো. আরমান হোসেন, পূর্বাঞ্চলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ফরিদ আহমেদ, ডেপুটি সিসিএম তোষিয়া আহমেদ প্রমুখ। দুই দিনব্যাপী রেলওয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল, পশ্চিমাঞ্চল, লালমনির হাট ও পাকশী থেকে একাধীন দল অংশগ্রহণ করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধচমেকে চোখের চিকিৎসা দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ