ডাক্তারের কথায় রোগী অর্ধেক ভালো হয় : প্রধানমন্ত্রী

| মঙ্গলবার , ৭ জুন, ২০২২ at ১১:০১ পূর্বাহ্ণ

চিকিৎসকদের সেবার ব্রত নিয়ে মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলার মতো পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডাক্তারের কথায় রোগী অর্ধেক ভালো হয়ে যায়। গতকাল সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস)- এর সুবর্ণজয়ন্তী এবং ১৪তম সমাবর্তনে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা শুধু একটা পেশা হিসেবে না মানুষের সেবা করা, সেই সেবার ব্রত নিয়েই আপনারা মানুষের পাশে থাকবেন, সেটাই আমরা আশা করি। ডাক্তারের কথায় রোগী অর্ধেক ভালো হয়ে যায়। সেটা হলো বাস্তবতা। একটা কথা আমি আমাদের চিকিৎসকদের বলব, যখন আপনারা মানুষের সেবা দেন, যখন একজন রোগী ডাক্তারের কাছে যায়, চিকিৎসা-ওষুধের থেকেও ডাক্তারের দুটো কথা সেটাও কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে মানুষকে সুস্থ করে বা তাদের ভেতরে একটা আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করে। সেই বিষয়টার দিকেও একটু বিশেষ ভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।

সকল পেশাজীবীকে মানবতাবোধ নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এটাই হলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে আমি বলতে পারি এইটুকু, আমি কিন্তু এই মানবতাবোধ নিয়েই এদেশের মানুষকে কিভাবে সেবা করে যাবো আমার মতো করে, আমি সেই সেবাটাই মানুষকে দিয়ে যাচ্ছি।
ক্ষমতাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভোগ, বিলাসে গা ভাসিয়ে দেওয়া নয়। বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করবার এবং তাদের সেবা করবার একটা সুযোগ হিসেবে আমি মনে করি। কাজেই আপনারাও যে যেখানে যে পেশাতেই থাকেন, আপনারা মানবতাবোধ নিয়ে মানুষের পাশে থাকবেন, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসকদের বলেন, অসংক্রামক রোগের প্রার্দুভাব বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ইদানিং ক্যান্সার এবং কিডনি রোগটার যেন একটু বেশি প্রার্দুভাব হচ্ছে। এ সম্পর্কে মানুষ কীভাবে সচেতন থাকতে পারে সে বিষয়ে জানানো দরকার। পাশাপাশি এই চিকিৎসাটা যেন মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারে আমরা প্রত্যেকটা বিভাগেই এ বিষয়ে হাসপাতাল তৈরি করা এবং সেবাটা দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করব। বিভিন্ন জেলা হাসপাতালগুলোতে কিডনি ডায়ালাইসিস এবং অন্যান্য, হার্টের চিকিৎসা এবং পরীক্ষা হয় সে পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। সে কার্যক্রম আমরা করে যাচ্ছি।

রোগ প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, তারপরও আমি বলব মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং যথাযথভাবে ডায়াগনোসিস করা, যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেটার ওপর আপনারা একটু গুরুত্ব দেবেন। চিকিৎসকদের গবেষণা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গবেষণায় মনোযোগী হওয়া একান্ত প্রয়োজন।

অনলাইনে উপজেলা হাসপাতালগুলোতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা দেওয়ার পরিকল্পনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রত্যেক উপজেলা হাসপাতালে ওয়েবক্যাম স্থাপন করেছে। আমরা এটিকে আরও উন্নত করব। যাতে অনলাইনে উপজেলা থেকে মানুষ বিশেষজ্ঞ সেবা নিতে পারে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দেশি-বিদেশি ফেলোদের হাতে পদক তুলে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখেলাপিদের ছাড় দিতে ইসির প্রস্তাবে আপত্তি ব্যাংক ও সেবা সংস্থার
পরবর্তী নিবন্ধরামমোহন রায় ও আজকের সমাজ