ডলারের নতুন দর খরচ বাড়ল কার্ডে

| বুধবার , ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ

অভিন্ন দরে সব ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় করবে-এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রথম দিন থেকে কার্ডে ডলারের খরচ বাড়াল ব্যাংকগুলো। একদিনের ব্যবধানে কার্ডে ডলার নেওয়ার খরচ ব্যাংক ভেদে ১৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার কয়েকটি ব্যাংক কার্ডে ডলার নেওয়ার খরচ বাড়িয়ে ১০৮ টাকা পর্যন্ত করেছে। গত রোববার পর্যন্ত যা ছিল ৯৫ টাকা। গত রোববার অভিন্ন দরে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ফরেন এঙচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন-বাফেদা এবং ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি, যা সোমবার থেকেই কার্যকর করেছে অনেক ব্যাংক। খবর বিডিনিউজের।
এক বছর আগে ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় দরে বিক্রি হওয়া ডলার বিভিন্ন কারণে এখন ঊর্ধ্বগতিতে। এক পর্যায়ে ব্যাংকেই বিক্রি হয়েছিল সর্বোচ্চ ১১১ টাকা। খোলা বাজারে তা ১২১ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকও গত ৩০ জুন থেকে ডলারের দর নিয়ন্ত্রণে শিথিলতা আনে। তাতে টাকার বিপরীতে ডলার আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। গত ৭ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর কাছে ৯৪ টাকা ৭৫ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করে। এরপর গত ৮ আগস্ট ডলারের দাম বাড়িয়ে ৯৫ টাকা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই সময়ে ব্যাংকগুলো আমদানি, রপ্তানি, নগদ ও রেমিটেন্সে ডলারের দর ১১১ টাকা পর্যন্ত লেনদেন করে। বাড়তি দরে ডলারের খরচ কমিয়ে আনতে গ্রাহকদের নগদ বা কাগুজে ডলারের পরিবর্তে কার্ডে নেওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ৩০ জুনের পর থেকে এতদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করে আসছিল, গ্রাহকদের সেই দরেই কার্ডে ডলার দিত ব্যাংকগুলো। এতে ব্যাংক ও খোলা বাজার থেকে নগদ ডলার কেনার চেয়ে কার্ডের খরচে ২৬ টাকা পর্যন্ত ব্যয় সাশ্রয় হচ্ছিল।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশে আসা রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে ডলারের বিনিময় হার হবে সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা। রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে সর্বোচ্চ ৯৯ টাকা পাবেন ব্যবসায়ীরা। আর ব্যাংকগুলো নগদ অর্থে যে দরে ডলার বিক্রি করে আসছিল ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে, সেই দরেই কার্ডে বিক্রি শুরু করে দেয়। গতকালও সেই দরেই বিক্রি করতে দেখা গেছে বিভিন্ন ব্যাংককে। এতে এক লাফে কার্ডে ডলার প্রতি খরচ বেড়ে গেছে ১৩ টাকা পর্যন্ত। ফলে বিদেশে পড়াশোনা, সেমিনার ফি, অনলাইন কোর্সসহ বিভিন্ন সেবা ও পণ্য কেনায় অর্থ পরিশোধে কার্ডেও খরচ বাড়ল।
এদিকে খোলা বাজারে গতকাল ডলারের ঘোষিত বিক্রয় দর ছিল ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা। আর ক্রয় দর ছিল ১০৬ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডলার নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ মানছে না ব্যাংকগুলো
পরবর্তী নিবন্ধরেলের উচ্চতার ঝামেলা থেকে মুক্ত হচ্ছে ব্রিজ দুটি