ট্রাক আটকে চাঁদাবাজি করলে ব্যবস্থা : জেলা প্রশাসক

দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৯ মার্চ, ২০২১ at ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

শহরের প্রবেশ মুখগুলোতে কাঁচা বাজারের ট্রাক আটকে চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় পুলিশের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন। আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অবাধ সরবরাহ ও কাপড়ের মূল্যসহ সকল পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখতেই মূলত ব্যবসায়ীদের সাথে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদেরকে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ সফলভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করছে। মহামারীর কথা ভেবে আসন্ন ২য় পৃষ্ঠার ৭ম কলাম
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নাগালের মধ্যে যেন রাখা যায় সেই বিষয়টি আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে। রমজানে যাতে বাজারে চাহিদা ও সরবরাহ পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে এবং আমদানিকৃত পণ্য, উৎপাদিত কাঁচা পণ্য ও কাপড়ের দাম সীমিত লাভে বিক্রি করে মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কাঁচা বাজারের ট্রাক কেউ যেন আটকে না রাখে, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি যাতে না হয়, কেউ যাতে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করতে না পারে সেদিকে নজর দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, এখানে আমরা কেউ কারো প্রতিপক্ষ না। আপনারা একেকজন একেক ব্যবসা করেন। কেউ আপনার পণ্য কিনছে বা কারো পণ্য আপনি কিনছেন। আমরা সবাই কিন্তু ভোক্তা। তাই দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উপর পুরো দেশ নির্ভরশীল। প্রায় সিংহভাগ আমদানি রপ্তানি এ চট্টগ্রাম দিয়েই হয়। বড় ভাই বা অভিভাবকের জায়গায় চট্টগ্রাম। তাই আমাদের দায়িত্ব বেশি। বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল রাখতে প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাজার মনিটরিং করা হবে। কয়েকটি টিম পৃথক পৃথক জায়গায় (পাইকারী ও খুচরা বাজার) মনিটরিং করবে। বাজার মনিটরিংয়ের প্রথম দিনে হ্যান্ড মাইক দিয়ে সবাইকে সচেতন করা হবে। পরবর্তী সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে মনিটর করা হবে। উপজেলাগুলোতে বাজার মনিটরিংয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণকে নির্দেশনা প্রদান করা হবে। পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে অবশ্যই ক্রয় রশিদ থাকতে হবে। দোকানে মূল্য তালিকা টাঙাতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। পচা-বাসি খাবার এবং খোলা অবস্থায় খাবার বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছাম্মৎ সুমনী আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়া, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স পরিচালক মাহবুবুল আলম ও ক্যাব চট্টগ্রামের সভাপতি এসএম নাজের হোসেনসহ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটিকেট লাগবে পতেঙ্গা সৈকতে
পরবর্তী নিবন্ধজয়দেবপুরে জনতা এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে