টেকসই নির্মাণে নতুন সম্ভাবনা

ফখরীজ গ্রিনের পরিবেশবান্ধব কনক্রিট ব্লক

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ

সেই ১৯৪৮ সাল থেকে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও সুপরিচিত প্রতিষ্ঠান ফখরীজ। সময় প্রযুক্তি ও আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবেশবান্ধব, দৃষ্টিনন্দন, স্বল্পখরচ ও টেকসই কাঠামো নির্মাণে ফখরীজই বাংলাদেশে সর্বপ্রথম। তারা এখন তৈরি করছে কনক্রিট ব্লক। যা অত্যাধুনিক জার্মান প্রযুক্তির অটোমেশিনে বিভিন্ন ডিজাইনের, রংয়ের কনক্রিট পেভার ব্লক, ভাঙনরোধী ব্লক। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের কনক্রিটের ব্লক ব্যবহার করা হয়ে থাকে, এগুলোর সাইজেও রয়েছে ভিন্নতা।
মানুষের আয় বৃদ্ধির ফলে দেশে ইটের বাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু ইট নির্মাণ হয় জমির উপরিভাগের মাটি দিয়ে, যেই মাটি ফসলের জন্য উর্বর। এছাড়া ইট নির্মাণে পোড়ানো হয় কাঠ। ফলে একদিকে অঙিজেন উৎপাদক গাছ কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে ইটের ভাটা থেকে বিষাক্ত কার্বন গ্যাস ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। এতে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। তাই পরিবেশ ও জলবায়ুর কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকার ও পরিবেশ অধিদপ্তর ইটের বিকল্প হিসেবে কনক্রিট ব্লক ব্যবহারে উৎসাহিত করছে। আর পরিবেশবাদীরা সব ইটভাটা বন্ধের দাবি তুলেছে। তাহলে ঘর-বাড়ি নির্মাণের উপায় কি! একমাত্র উপায় কনক্রিট ব্লক দিয়ে ঘর নির্মাণ। ফখরীজ গ্রিন বিল্ডিং রিসোর্সেস লিমিটেড নিয়ে এল অত্যাধুনিক কনক্রিট ব্লক। ফখরীজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসাইনী তাহের ফখরী জানান, কনক্রিট ব্লক অধিক পরিবেশবান্ধব। পোড়া ইটের বিকল্প হিসেবে কনক্রিট ব্লক অনেক বেশি কার্যকর, সাশ্রয়ী, টেকসইও। নানা ধরনের ব্লক আমরা তৈরি করছি। তন্মধ্যে-কনক্রিট হলো ব্লক, পেভার ব্লক অন্যতম। এই প্রযুক্তি সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কনক্রিট হলো ব্লক (ঈড়হপৎবঃব ঐড়ষষড় িইষড়পশ) : এটি বিভিন্ন ধরনের ভারবাহী বা অভারবাহী দেয়াল নির্মাণের কাজে ব্যবহৃত হয়। বড় সাইজের এ কনক্রিট ব্লক ব্যবহারের ফলে সংযোগ সংখ্যা কমবে এবং মর্টারের ব্যবহার কম হবে। হলো ব্লক ভাল অন্তরক হিসাবে কাজ করে এবং শব্দ, তাপ ও আর্দ্রতা প্রতিরোধক। সিমেন্ট, নূড়ি পাথর ও বালি মিশিয়ে এই ব্লক তৈরি করা হয়। কনক্রিট হলো ব্লক মূলত বিল্ডিংয়ের দেয়াল তৈরির উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। সমসাময়িককালে সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে এ ধরনের পণ্যের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে। কনক্রিট ওয়াল ব্লকসমূহ চিরাচরিত ব্যবহার্য ইটের তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী এবং এটি অনেক বেশি শ্রম, শক্তি ও সময় বাঁচায়। ১. শব্দ, অগ্নি ও তাপ নিরোধক। ২. ইলেকট্রিক্যাল পাইপ বসানোর জন্য দেয়াল কাটা লাগে না। ৩. ইটের ন্যায় অধিক পানি শোষণ করে না। ৪. এই ব্লক গাঁথুনির কাজে ব্যবহারের আগে ইটের মতো পানিতে ভেজাতে হয় না। ৫. কনক্রিটের ব্লকে নোনা ধরে না, ঘামে না, ড্যাম্প হয় না, ফাঙ্গাস পড়ে না বলে এটি দীর্ঘস্থায়ী। ৬. কনক্রিটের ব্লকে ইটের তুলনায় কম পুরুত্বের প্লাস্টারিং ব্যবহার করা হয়। ৭. বাড়ির ব্যক্তিগত ওজন ও নির্মাণ খরচ দুই-ই কমাবে। ৮. পরিবেশবান্ধব এবং ভূমিকম্প সহনশীল। ৯. কৃষি জমি ও বনজ সম্পদের অপচয় রোধ হয়। কোনো জ্বালানির প্রয়োজন হয় না। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে না। বছরব্যাপী উৎপাদন সম্ভব। স্থায়ীত্বকাল ও কাঠামোগত ভারসাম্য বেশ ভাল।
কনক্রিট পেভার ব্ল্লক : আধুনিক দৃষ্টিনন্দন টেকসই ও মজবুত কন্টেনার ইয়ার্ড, পেট্রোল পাম্প, রাস্তা, পার্কিং এবং ফুটপাত নির্মাণে অত্যন্ত উপযোগী। এটি উচ্চ চাপবহন ক্ষমতাসম্পন্ন কনক্রিট ৭০০০ থেকে ৮০০০ পিএসআই এর অধিক। যা ব্যবহার করা যায় যুগের পর যুগ। উচ্চ তাপমাত্রারোধী এবং কম পানি শোষণ ক্ষমতা ফলে স্থাপনা থাকে মজবুত ও নোনারোধী। খরচ কম, সহজেই স্থাপন ও পরিচর্যা করা যায়।
শহর কিংবা গ্রাম আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাণশৈলীতে ফখরীজ গ্রিন বিল্ডিং রিসোর্স লিমিটেডের কনক্রিট ব্লক যেমনি দৃষ্টিনন্দন, তেমনি যুগপোযোগী ও পরিবেশবান্ধব। টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী ইমারত নির্মাণে এই কনক্রিট ব্লকের বিকল্প নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআইসিসির দশক সেরা ওয়ানডে দলে সাকিব
পরবর্তী নিবন্ধচাল আমদানিতে শুল্ক কমল ৩৭ শতাংশ