টি-টোয়েন্টির জন্য হার্ড হিটিংয়ের বিকল্প নেই

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ১ জুলাই, ২০২২ at ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শুরু থেকেই ঝড় তোলার মত ক্রিকেটার সব দেশেই আছে। আর ঝড় তুলতে গেলে শারীরিক গড়ন বড় একটি কারণ বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। তাই এই জায়গায় ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার পথ খুঁজছেন বাংলাদেশ ব্যাটিং কোচ। এমনিতেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বরাবরই অধারাবাহিক বাংলাদেশ। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ হওয়ার পর ব্যাটসম্যানদের পাওয়ার হিটিং নিয়ে আলাদাভাবে কাজ করার বিষয়টি আলোচনায় আসে জোরেশোরে । এর জন্য বিশেষজ্ঞ কোচ নিয়োগের পদক্ষেপও নেয় বিসিবি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য ওই দেশেরই সাবেক অলরাউন্ডার অ্যালবি মরকেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তবে অল্প এই সময়ে কতটুকুই বা পরিবর্তন আনা সম্ভব। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজে আবারও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। আগামীকাল শনিবার স্বাগতিকদের বিপক্ষে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সংস্করণে মাঠের লড়াই শুরুর আগে তাই ঘুরেফিরে আসছে দেশের পাওয়ার হিটিং নিয়ে ঘাটতির কথা।

বিসিবি পাঠনো ভিডিও বার্তায় সিডন্স তুলে ধরেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের শারীরিকভাবে পিছিয়ে থাকার বিষয়টি। বাংলাদেশে খুব দীর্ঘাকায়ী ক্রিকেটার নেই। যেমন রয়েছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা অন্য দেশে। তাই আমাদের অন্যভাবে উপায় খুঁজতে হবে। আমরা শক্তির দিক থেকে অন্য দলগুলোকে পেছনে ফেলতে পারব না। বাংলাদেশের বোলিং বিভাগে আস্থা আছে সিডন্সের। তার মতে ব্যাটসম্যানদের এখন কেবল প্রয়োজন ভালো একটা সংগ্রহ গড়া।

এর জন্য ছক্কা হাঁকানোর চিন্তার চেয়ে প্রান্ত বদল করে রান বাড়ানোর পথ বেছে নেওয়াকেই বেশি জরুরি মনে করছেন তিনি। আমাদের বোলিং বিভাগ খুব ভালো। আমার মনে হয় না, আমাদের অনেক বেশি রান করতে হবে। একটা ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে হবে। তবে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিততে হলে পাওয়ার হিটিংয়ে অবশ্যই মনোযোগ দিতে হবে। পাওয়ার হিটিং অবশ্যই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতায়। যত বেশি বাউন্ডারি, তত বেশি ম্যাচ জেতা যায়।

তাই আমাদের এখন পাওয়ার হিটিংয়ে মনোযোগ দিতে হবে। ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। অনেক চার মারতে হবে। আমরা যদি অনেক চার মারতে পারি, অনেক সিঙ্গেল নিতে পারি পাশাপাশি কিছু ছক্কা মারতে পারলে বড় সংগ্রহ গড়তে পারব। এরপর আমাদের বোলিং আক্রমণ বাকিটা সামলে নিতে পারবে। আমাদের বিশাল স্কোর করতে হবে না। সিডন্স বলেন পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করার সামর্থ্য আমার রয়েছে । কিন্তু এখানে আসার পর মাত্র পাঁচটি ট্রেনিং সেশন হয়েছে। এর বাইরে কেবল ম্যাচ আর যাত্রা। পাওয়ার হিটিংয়ের স্কিল আয়ত্ত্ব করতে অনেক বেশি ট্রেনিং সেশন প্রয়োজন। ট্রেনিংয়ে আরও বেশি সময় দিয়ে দেখতে হবে খেলোয়াড়দের স্কিলে পরিবর্তন আনা যায় কি না। এই মুহূর্তে আমরা ম্যাচ খেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেমিফাইনালে চট্টগ্রামের প্রতিপক্ষ আজ মাগুরা
পরবর্তী নিবন্ধসিসিএল চেয়ারম্যানস টেবিল টেনিস লিগ শুরু