চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌরুটের কুমিরা জেটির প্রায় অর্ধেক অংশ ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার সকালে জেটির সম্মুখ অংশ অর্থাৎ যেটি দিয়ে যাত্রীরা নিচে নেমে স্পিডবোট বা লালবোটে সহজে ওঠানামা করতো সেটি ভেঙে গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে জেটির সম্মুখ অংশে যাত্রী উঠানামা বন্ধ রাখা হয়। ফলে ভাটার সময় পানিতে নামার কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। আবদুল আলীম মাসুদ নামে এক যাত্রী গতকাল সকালে সন্দ্বীপ থেকে স্পিডবোটে কুমিরা ঘাটে পৌঁছে পড়েন নতুন এ ভোগান্তিতে। তিনি জানান, কুমিরা ব্রিজের মাঝের সিঁড়ি পর্যন্ত বালি থাকলেও মাঝে মাঝে কাদা রয়েছে। আমার সাথে রোগী ছিলো। কিন্তু মাঝের সিঁড়ি মাটি থেকে প্রায় ৪ ফুট ওপরে। তাই মাঝের সিঁড়ি দিয়ে উঠা সম্ভব হয়নি। শেষে পুরো পথ বালি-কাদা মাড়িয়ে হাঁটতে হয়েছে।
কুমিরা ঘাটের পরিচালক জগলুল হোসাইন নয়ন আজাদীকে বলেন, কুমিরা জেটির যে অংশ ভেঙে গেছে সেটির বিকল্প হিসাবে প্রায় ১২০ ফুট লোহার ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় ঘাট ইজারাদার এস এম আনোয়ার হোসেন। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আনোয়ার চেয়ারম্যানসহ আমরা বিআইডব্লিউটিএর অফিসে গিয়ে আবেদন জানালে তা নাকচ করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। ফলে যাত্রীদের উঠানামার দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে প্লাস্টিকের ড্রাম দিয়ে ভাসমান ব্রিজ করা যায় কিনা আমরা চেষ্টা করছি।
বিআইডব্লিউটিএর চট্টগ্রামের বন্দর ও পরিবহন বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নয়ন শীল আজাদীকে বলেন, কুমিরা জেটির ঝুঁকিপূর্ণ অংশ নিয়ে আমরা অবগত আছি। দ্রুত এর একটা ব্যবস্থা (মেরামত) করার জন্য ইতিমধ্যে আমরা কাজও শুরু করে দিয়েছি। পুরাতন ব্রিজের রেলিং ভেঙে পাশে আরেকটা ব্রিজ করা যায় কিনা সে বিষয়ে পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া ড্রেজিং করে একটু ভিতরে ব্রিজের যে অংশ পর্যন্ত ভালো আছে সেখানে লালবোট ভিড়ানো যায় কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও এটা ব্রিজের জন্য কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। ব্রিজের মাথা থেকে পূর্ব দিকে গাড়ি ঘুরানোর জন্য প্রথম মোড় পর্যন্ত অংশটা ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান তিনি।
জেলা পরিষদের ইজারাদারের উদ্যোগে লোহার ব্রিজ করার জন্য বিআইডব্লিউটিএর কাছে অনুমতি চাইলেও তা না দেয়ার প্রসঙ্গে তিনি জানান, অফিসিয়ালি এ কাজ বিআইডব্লিউটিএ ব্যতীত অন্যদের অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই।
