জুম্‌’আর খুতবা

অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি | শুক্রবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

সূরা যিল্‌যাল’র ফযীলত ও বৈশিষ্ট্য

সূরা যিলযাল প্রসঙ্গ: এ সূরার অপর নাম “যাল্‌যালাহ” এর অর্থ কম্পন, এতে কিয়ামত দিবস বা কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ের বর্ণনা আলোকপাত হয়েছে। সূরাটি মক্কী, তাফসীকারদের অন্য এক বর্ণনামতে সূরাটি মাদানী, এতে রুকু সংখ্যা এক, আয়াত সংখ্যা আট, শব্দ সংখ্যা পয়ত্রিশ, এটি কুরআনের ৯৯তম সূরা।

সূরার অনুবাদ: ১. যখন পৃথিবীকে তার (প্রবল) কম্পনে কম্পিত করা হবে যেভাবে সেটার কম্পন সাব্যস্ত হয়েছে। ২. এবং পৃথিবী যখন তার বোঝা বাইরে নিক্ষেপ করবে। ৩. এবং মানুষ বলবে এর কী হলো। ৪. সেদিন সে তার (সবকিছু) সংবাদ সমূহ বর্ণনা করবে। ৫. এ জন্য যে আপনার প্রতিপালক তাকে সেটা আদেশ পাঠিয়েছেন। ৬. সেদিন মানুষ স্বীয় প্রতিপালকের প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে, বিভিন্ন রাস্তাধরে, যাতে তাদেরকে তাদের কৃতকর্মসমূহ দেখানো হয়। ৭. সুতরাং যে অণুপরিমাণ সৎকাজ করবে সে তা দেখতে পাবে। ৮. এবং যে অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করবে সে তাও দেখতে পাবে। (সূরা যিল্‌যাল, আয়াত: ১-৮)
সূরার আলোচ্য বিষয়: ১. কিয়ামতের দৃশ্যাবলীর বর্ণনা, পৃথিবী ভীষণভাবে প্রকম্পিত হওয়া তথা ভূমিকম্প হওয়ার বর্ণনা। ২. পৃথিবী নিজের ভেতরকার প্রাণীর মৃতদেহ, খনিজ দ্রব্যাদিসহ সমস্ত বোঝা বাইরে নিক্ষেপ করার বর্ণনা। ৩. বান্দা নিজের ভালমন্দ আমল দেখার বর্ণনা।
এ সূরার ফযীলত: হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, সূরা যিলযাল কুরআনের এক চতুর্থাংশের সমান। (তাফসীরে ফুয়ুজুর রহমান, পারা: ৩০, পৃ: ১০০৬)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, “সূরা যিলযাল” কুরআনের অর্ধেক, সূরা ইখলাস এক তৃতীয়াংশ এবং সূরা কাফিরুন এক চতুর্থাংশের সমান। (তাফসীর ইবনে কাসীর, একাদশ খন্ড, পৃ: ৫৬৬)
কিয়ামত দিবসে প্রত্যেক মু’মিন ও কাফির নিজ নিজ ভাল ও মন্দ আমল দেখতে পাবে: হযরত আবদুল্লাহ ইবেন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, প্রত্যেক মু’মিন ও কাফিরকে কিয়ামত দিবসে তাদের ভাল ও মন্দ কর্মগুলো দেখানো হবে। মু’মিনকে তার ভাল ও মন্দ আমল দেখানোর পর তার মন্দ আমলগুলো ক্ষমা করে দেবেন, নেক আমলগুলোর সওয়াব দান করবেন। কাফিরের ভাল আমল ফিরিয়ে দেয়া হবে। কুফরীর কারনে তার নেক আমল বিফলে যাবে। মন্দ আমলের কারণে তাকে শান্তি দেয়া হবে। কাফিরকে নেক আমল দেখানোর পর এ জন্যই তা রহিত করা হবে যেন, তার অনুশোচনা বৃদ্ধি পায়। (তাফসীরে ফুয়ুজুর রহমান, পারা: ৩০, পৃ: ১০০৫)
কিয়ামত দিবসে মু’মিনের নেক আমল ক্ষুদ্র হলেও উপকারে আসবে। বর্ণিত আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে তাফসীরকাররা বর্ণনা করেন, উত্তম ও নেক আমলের প্রতি উৎসাহ ও প্রেরণা সৃষ্টির জন্য উপরোক্ত আয়াত নাযিল হয়। নেক আমল সামান্য হলেও যেমন একটি খেজুর, একটি আঙ্গুর, এক টুকরো রুটি বা বাদাম যদি বিশুদ্ধ নিয়তে দান করে থাকলে এর প্রতিফল বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
মন্দ আমল সামান্য হলেও আল্লাহর ভয় না থাকার কারণে তা কবীরা গুনাহ হিসেবে লিপিবদ্ধ হবে। যেমন ওজনে পরিমাপে সামান্য পরিমাণ খিয়ানত করা, কুদৃষ্টিতে কোন মহিলার প্রতি দৃষ্টিপাত করা, মন্দ কাজে এক কদম অগ্রসর হওয়া, সামান্যটুকু মিথ্যাচার করা, আল্লাহর প্রতি দু: সাদৃশ প্রদর্শনের কারণে সামান্য অপরাধটুকুও কবীরা গুনাহ হিসেবে গণ্য হবে। (তাফসীরে ফুয়ুজুর রহমান, পৃ: ১০০৭)
সগীরা গুনাহেরও হিসাব হবে: উম্মুল মু’মেনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলতেন হে আয়েশা, ছোট খাট গুনাহ থেকেও নিজকে বাচিয়ে রাখ, কারণ কিয়ামতের দিন এটারও হিসাব হবে। (মুসনাদে আহমদ, তাফসীরে ইবনে কাছীর, একাদশ খন্ড, পৃ: ৫৬৯)
আয়াতে “যাররা” শব্দের অর্থ: যাররা অর্থ ধুলিকণা, অনেকের মতে সূর্য রশ্মিতে প্রতিভাত হয় এমন ধুলিকণা তখনকার সময়ে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তু বুঝানোর জন্য “যাররা” শব্দ ব্যবহার হতো “যাররা” এমন বস্তু যা ধুলিকণার চেয়েও ক্ষুদ্র ধুলিকণা তো খালি চোখে দেখা যায় কিন্তু “যাররা” বা পরমাণুকে অনুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও দেখা যায়না। বৈজ্ঞানিকদের মস্তিস্কে তা স্বপ্ন মাত্র। সুতরাং এতো ক্ষুদ্র পরিমাণ ভালো বা মন্দ কাজের ফলও মানুষকে কিয়ামতের দিন ভোগ করতে হবে।
সৎ কর্ম ও অসৎ কর্ম: সৎকর্ম ও অসৎ কর্ম করার উপায় বিভিন্ন উপায়ে হয়। সৎ কর্ম নিজে করা অন্যজনের মাধ্যমে সৎকর্ম প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করা, কথায় কাজে আচরণে ব্যবহারে চিন্তা চেতনায় সৎ পথে চলা, সৎ কাজ করা, সঠিক পথের দিশা দেওয়া, সৎ কাজে অন্যকে সহযোগিতা করা, সমর্থন করা, উৎসাহিত করা, অনুপ্রাণিত করা, কুরআন সুন্নাহর অনুসরণে সকল প্রকার সৎ কাজ নিজে করা ও সৎ কাজ প্রচার প্রসারে প্রতিনিধি নিযুক্ত করা, বিভিন্ন উপায়ে নেক আমলের সুযোগ রয়েছে। এক কথায় যে সব কাজ সদুদ্দেশ্য করা হয় তা “খাইর” ভালো কাজ হিসেবে বিবেচিত।
প্রত্যেক অবৈধ কাজ হচ্ছে মন্দ কাজ। যা শরীয়ত অনুমোদন করেনা যা কুরআন সুন্নাহ সমর্থিত নয়। মন্দ কাজ নিজে করা বা প্রতিনিধির মাধ্যমে করা সমান অপরাধ। মন্দ কাজ, তথা অপকর্ম আবিস্কার করা উদ্বোধন করা, এ কাজে সংশ্লিষ্ট থাকা, অন্যজনকে সম্পৃক্ত করা, মন্দ কাজের বিস্তার ও প্রচার প্রসারে ভূমিকা রাখা সবটুকুই অসৎ কর্ম হিসেবে গণ্য হবে। অণু পরিমাণ সৎ কর্ম বা অসৎ কর্মের পরিণতিও মানুষকে ভোগ করতে হবে। (তাফসীর নূরুল ইরফান সংশ্লিষ্ট আয়াতের সার সংক্ষেপ)
পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হলে ভূ-কম্পন হয়: মহান আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, আমি পর্বতমালাকে পেরেক হিসেবে সৃষ্টি করেছি। (সূরা: নাবা, আয়াত: ৭)
আল্লাহ তা’আলা আরো এরশাদ করেছেন, “আমরা পৃথিবীতে সদৃঢ় পর্বত স্থাপন করেছি যাতে তাদেরকে নিয়ে পৃথিবী ঝুঁকে না পড়ে এবং তাতে প্রশস্ত পথ রেখেছি যাতে তারা পথ প্রাপ্ত হয়। (সূরা: আম্বিয়া, আয়াত: ৩১)
ভূ-বিজ্ঞানীদের গবেষণায় প্রমাণিত জাহাজের নোঙর যেমন জাহাজকে দুর্যোগ ও নড়াচড়া থেকে রক্ষা করে তেমনিভাবে মহান আল্লাহ পর্বতমালার নোঙর দিয়ে পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠের ভারসাম্য রক্ষা করেছেন। যখনই আল্লাহর কুদরতী ব্যবস্থাপনার উপর আঘাত হানা হয় পাহাড় নিধন ও পাহাড় কাটার মাধ্যমে ভূ-পৃষ্ঠের ভারসাম্য নষ্ট করা হয়। তখন ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মহান আল্লাহ পর্বতগুলো স্থাপন করে ভূ-পৃষ্ঠকে ব্যালেন্স পজিশনে রেখেছে। ভূতত্ত্ববিধ আধুনিক বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে, ভূ-কম্পন রোধে পর্বতমালার স্থিরতার বলিষ্ট ভূমিকা রয়েছে। (বিজ্ঞানময় কোরআন, কৃত: মুহাম্মদ আবু তালেব)

ভূপৃষ্টে কখনো অগ্নিয়গিরীর উদগীরণ হয়: যেহেতু পাহাড়ের ভেতরে আগ্নেয়গিরী বা লাভা বিদ্যমান রয়েছে, কঠিন ভূমির নীচে রয়েছে শুধু লাভা আর লাভা, এটার গভীরতা কয়েক মাইল কোথাও হাজার ফুট। ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগ যদিও শীতল কিন্তু তার অভ্যন্তরভাগে উত্তপ্ত লাভা বিদ্যমান। ভূমিকম্প আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য সতর্কবাণী। আল্লহর বিরুদ্ধাচারণ, শরয়ী সীমালঙ্গন, অনাচার, পাপাচার ও ব্যাভিচার যখন দেশ সমাজ ও রাষ্ট্রে বৃদ্ধি পায় তখন আল্লাহ তাঁর শাস্তির ভয়াবহতা সম্পর্কে বান্দাকে সাবধান ও সতর্ক করার লক্ষ্যে ভূমিকম্পন দিয়ে থাকে। বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযূক্তির জয়জয়কার হলেও ভূ-তত্ত্ব বিজ্ঞানীদের পক্ষে কখন কোথায় কি পরিমান দিনক্ষণ সুনির্দিষ্ট করে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব নয়। যদিও ভূতত্ত্ব বিজ্ঞানীরা ভৌগোলিক অবস্থান ভূতাত্বিক বা ভূস্তরের গঠন ও ভূতাত্বিক পরিবর্তনের প্রচন্ড শক্তিশালী ভূমিকম্পের অশনি সংকেত দিচ্ছে, তবে কুরআন সুন্নাহর আলোকে নিঃসন্দেহে প্রতীয়মান হয় যে, মানব চরিত্রের অধ:পতন ও নৈতিক অবক্ষয় এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মহামারি, সাইক্লোন ভূমিধ্বংস ও ভূমিকম্প ইত্যাদি খোদায়ী আযাবের মূল কারণ। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, হযরত সাহল ইবনু সা’আদ আস সা’আদী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে ভূমিধস, পাথর বর্ষণ, ও অবয়ব বিকৃতি ঘটবে। জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তা কখন হবে? নবীজি বললেন, যখন নর্তকী মহিলা গান বাজনা বাদ্যযন্ত্র প্রকাশ্যে ব্যাপকতা লাভ করবে এবং মদ্যপানকে বৈধ মনে করা হবে। (আদ্‌ দুররুল মানছুর, খন্ড: ৩, পৃ: ১৭৮)
হাদীস শরীফে আরো এরশাদ হয়েছে, ইয়া রাসূলুল্লাহ যখন ভূকম্পন দিয়ে পৃথিবী ধ্বসিয়ে দেয়া হবে তখন কি নেককার লোকেরা পৃথিবীতে অবস্থান করবে? নবীজি বললেন হ্যাঁ। যখন পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ অসৎ কর্মে লিপ্ত হবে। তখন ভূ-কম্পন সৃষ্টি হবে। (কানযুল উম্মাল, খন্ড:১৪, পৃ: ২০০)
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে ভূমিকম্প, মহামারীসহ কঠিন শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। আমীন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী), বন্দর, চট্টগ্রাম; খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।
আবদুল্লাহ আল মামুন
গরীব উল্লাহ শাহ হাউজিং সোসাইটি
খুলশী, চট্টগ্রাম।

প্রশ্ন: বর্তমানে এক শ্রেণির আধুনিক শিক্ষিত লোকেরা (যারা কুরআন সুন্নাহর পারদর্শী আলেম নন) সহীহ হাদীসের নামে নামাযে উচ্চৈঃস্বরে আমীন বলে থাকে এ ব্যাপারে সঠিক জবাব জানতে চাই?

উত্তর: বিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থ বুখারী শরীফে উল্লেখ রয়েছে “আমীন হচ্ছে দুআ” বা প্রার্থনা সহীহ বুখারী শরীফ, খন্ড, পৃ: ১৫৬)
আল্লাহ তা’আলা দুআ প্রসঙ্গে এরশাদ করেছেন, তোমরা তোমাদের প্রভুর নিকট প্রার্থনা করো বিনয়ের সাথে এবং নীচু স্বরে। (সূরা: আরাফ, আয়াত: ৫৫)
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত ওয়াইল হাদ্বরামী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহর সাথে নামায পড়েছি যখন তিনি “ওয়ালাদ্বোয়াল্লীন” পড়লেন তিনি আমীন বললেন, আমীন নিচুস্বরে বললেন। (মারিফাতুস সাহাবা, হাদীস নং: ৬৪৮২)
ফিকহ শাস্ত্রের প্রসিদ্ধ কিতাব “হিদায়া” এর ব্যাখ্যা গ্রন্থ প্রণেতা আল্লামা আইনী উল্লেখ করেন, আমিরুল মু’মিনীন হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইমাম চারটি বিষয় নিম্নস্বরে বলবে আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ, আ-মীন, রাব্বানা লাকাল হামদু। (বেনায়া শরহে হিদায়া, খন্ড: ২, পৃ: ১৯৬)
সাহাবীদের মধ্যে প্রথম ফকীহ সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) এবং আমিরুল মুমিনীন হযরত মাওলা আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, আমীন আস্তে বলার পক্ষে অভিমত পেশ করেছেন। (ইমাম তাবরানী, মুজামুল কবীর, হাদীস নং: ৯৩০৪)

পূর্ববর্তী নিবন্ধআন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস : প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষা প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস
পরবর্তী নিবন্ধদূরের দুরবিনে