জল জোছনার কাব্য

রুনা তাসমিনা | বৃহস্পতিবার , ৭ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

সাগরের নীল শাড়ির শুভ্র চঞ্চল আঁচলে পা ফেলে ছুটছে এলা। বাতাসে উড়ছে খোপা ভাঙা চুল। সাগরের গর্জনকে ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে নূপুরধ্বনি। পাশাপাশি ছুটছে একটি বাচ্চা হরিণ! গাঢ় নীল পানির ছোটো ছোটো ঢেউ এসে আলতো করে ছুঁয়ে যাচ্ছে তীর। গাঙচিলের দল দুলছে ঢেউয়ের দোলে। আবার কখনো উড়ে গিয়ে ফিরে আসছে ঢেউয়ের হাতছানিতে। কিছু ডলফিনের ঝাঁক খেলছে ঢেউয়ে বিলি কেটে। কখনো একটি, কখনো দুটি লাফিয়ে উঠছে পানির অনেক উপরে। যেনো উপরের নীলাকাশ ছুঁতে চায় তারা। আকাশের নীলে মাঝে মাঝে ভেসে যাচ্ছে টুকরো টুকরো সাদা মেঘ। শরতের গাঢ় নীল আকাশ। শাদা মেঘের টুকরো নরম পেঁজা তুলোর মতো। চোখ ধাঁধানো রূপ প্রকৃতির।
-এই এলা, দাঁড়া ওদিকে যাসনে। ঝাউবনের ওদিকটায় লোকজন নেই। চোরাবালিও থাকতে পারে। বং এর ডাক শুনতে পেলো কী না এলা বোঝা গেলো না। বাচ্চা হরিণটির পাশাপাশি সে ছুটছে তো ছুটছে। হরিণটার পালিয়ে যাওয়ার কথা এলাকে দেখে। কিন্তু সে যেনো মজা পাচ্ছে। নির্বাক প্রাণীগুলো মানুষকে বুঝতে পারে মনে হয়। ঢেউয়ের আকৃতি বড়ো হচ্ছে ধীরে ধীরে। জোয়ার আসছে। এলার বেপরোয়া ছুটে যাওয়া শঙ্কিত করে তোলে বংকে।
পেছন থেকে ভেসে আসা বং এর কথা শুনে খিলখিল করে হেসে এলা দৌড়ের গতি আরো বাড়ায়।
কী বলবি? বল, ওখান থেকে। আমি শুনতে পাচ্ছি। এলা থামে না। পায়ের পাতায় সাগরের ছোঁয়া নিয়ে সে ছুটছে। বাচ্চা হরিণটিও ছুটছে তার সঙ্গী হয়ে। যেনো প্রতিযোগিতা চলছে দু’জনের মাঝে। এবার দৌড়ে এসে এলার পথ আগলে দাঁড়ালো বং।
-দেখছিস না জোয়ার আসছে? পা পিছলে পড়লে কী হবে জানিস না? চল বসি কোথাও। এলা তাকিয়ে দেখলো, বাচ্চা হরিণটা তাকে ছাড়িয়ে এগিয়ে গেছে বেশ খানিকটা। পাশের সঙ্গীকে না দেখে পেছনে তাকালো। এলার সঙ্গে আরেকজনকে দেখে থামলো। ত্রিশ সেকেণ্ডের জন্যে দ্বিধান্বিত মনে হলো তাকে। এরপর ধীর পায়ে চললো ঝাউ বনের ভেতর। সঙ্গী রণে ভঙ্গ দেয়ায় তাকে হতাশ মনে হলো। হরিণটার চোখে যেনো বিরক্তি ছিল। তার হাঁটার ভঙ্গিতে কী মন খারাপের ছাপ? ভাষাহীন প্রাণীগুলোও চোখের দৃষ্টি দিয়ে বুঝিয়ে দেয় মনের কথা। এলা ওদিকে আবার পা বাড়াতেই বং পথ আগলায়। জোর করলে সে ওদিকে যাবেই যাবে। তার মন অন্যদিকে ফেরানোর জন্য বলে,
-সূর্যটা দেখ, কী সুন্দর দেখাচ্ছে! দুপুরের গনগনে তপ্ত সূর্য এখন কেমন স্নিগ্ধ।
সাগরের দিকে এক পলক তাকিয়ে এলা চোখ ফিরিয়ে নেয়।
-হরিণের বাচ্চাটা কোথায় গেলো? এই বং, চল না দেখে আসি। ও যদি ওর মাকে খুঁজে না পায়?
-বোকা! ওদের জন্মই তো এখানে। ও ঠিক খুঁজে নেবে ওর মাকে।
এলা তাকিয়ে দেখছে হরিণটার চলে যাওয়া। তার চোখে ছেয়ে বসছে বিষণ্নতা।
কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো
সে কথা তুমি যদি জানতে
এই হৃদয় খুলে যদি দেখানো যেত
আমি যে তোমার তুমি মানতে…
এলার উচ্ছ্বসিত হাসিতে গান থামিয়ে নিজেও হেসে গান থামালো বং।
-হাসছিস কেন? খারাপ গেয়েছি নাকি?
-না না। খুব সুন্দর গেয়েছিস। দুষ্টুমি ছড়িয়ে আছে এলার সারা মুখে, হাসিতে। যোগ করলো,
-এই দ্যাখ, সাগরটা এখান থেকে শুরু। এই যে আমি আর তুই যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, কী বিশাল! আর ওই যে আকাশ! যার শুরু এবং শেষ, আশপাশ কিছুই নেই তোর হৃদয় কি অতো বড়ো? তুই আমাকে তাদের মতো ভালোবাসিস?
-তুই বললে খুলে দেখাই?
শার্টের বোতাম খোলা উদোম বুকে হাত রেখে বললো বং। সিনেমার নায়কদের মতো বেশ গম্ভীর তার মুখ।
বং’র কথা শুনে আবার খিলখিল হাসি এলার। আচমকা নখের একটা আঁচড় বসিয়ে দিলো বং’র বুকে। ‘উহ্‌’ শব্দে বং বুক চেপে ধরে বললো,
-কী ছেলেমানুষী করছিস! লম্বা দাগটিতে রক্ত জমছে। পকেট থেকে টিস্যু বের করে বং মুছে নিচ্ছে ক্ষতস্থান। নখের আঁচড়ে বং এর উফ শব্দটি মুখ দিয়ে বেশ জোরে বেরিয়ে গেলো। উৎসুক কিছু চোখ সঙ্গে সঙ্গে ফিরে ফিরলো ওদের দিকে। দৃশ্যটি দেখে তারা বেশ মজা পেয়েছে। বং অস্বস্তি বোধ করছে।
কমলা আর সোনালি রঙের এক অপূর্ব মিশ্রণ ডুবতে থাকা সূর্যে। ধূসর ঢেউয়ে ভাসছে গলিত সোনা। এ যেনো জলের সোনালি জোছনা। ঘুরতে আসা অল্প কিছু মানুষ পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম বীচে। কেউ ঝাঁপিয়ে পড়ছে সোনালি ঢেউয়ে। কারো হাতের স্মার্ট ফোনে উঠছে বিভিন্ন ভঙ্গির ছবি। যদিও পর্যটকের ভীড় এখনো তেমন নেই। কঙবাজার সমুদ্র সৈকত শব্দদূষণ মুক্ত। শোঁ শোঁ শব্দে সাগর সগৌরবে তার ভাষায় কথা বলছে তীরে এসে। এলার উচ্ছ্বসিত হাসি, একজন পুরুষকে এভাবে আঁচড়ে দেয়া কেউ কেউ পছন্দ করেনি। পাগল নাকি! কী হিংস্র! এ ধরনের কথা কানে আসছে। কেউ হেসে বলছে,
-প্রেমিকার আঁচড়ে বিষ থাকে না। সহ্য করে নাও ভায়া।
ওদের কথায় মনে হচ্ছে কোনো সিনেমা কিংবা নাটকের শ্যুটিং দেখছে। ও পাড়ার নায়ক নায়িকাদের ইচ্ছেমতো খোঁচানো যায়। ওরা কিচ্ছু বলে না। আরো হাসে। পাবলিকের কথায় মজা পায়। তাই হেসেই উড়িয়ে দেয় সমস্ত তাচ্ছিল্য। কিন্তু এটি নাটক, সিনেমার শ্যুটিং নয়। বং তবুও কিছু বলছে না। তার ভয় এলাকে নিয়ে। সরে যেতে হবে এখান থেকে। মাথায় কোনো বুদ্ধি খেলছে না। তখনই জেলেগুলো বিশাল জাল নিয়ে সৈকতে উঠলো। জালের তলানিতে সাগর থেকে উঠে এলো অল্প কিছু শামুক-ঝিনুক, কয়েকটি সামুদ্রিক মাছ। তারস্বরে চীৎকারের মতো জালের কোণে তড়পাচ্ছে ওগুলো। এক জেলে সানগ্লাস তুলে নিয়ে দেখাচ্ছে সবাইকে। একটা দশ টাকার নোট একজন পকেটে ভরছে। কাউকে কিছু জিগ্যেস করার দরকার তারা মনে করছে না। সাগরের বুক থেকে প্রতিদিন উঠে আসে কতকিছুই। এগুলোর মালিককে কখনো পাওয়া যায় না।
-সানগ্লাসটা আপনার স্ত্রীর কি-না দেখে আসেন ভাই। ভিড়ের মধ্য থেকে শেষ খোঁচাটি দিলো কেউ। ভিড় চলে গেলো জেলেদের কাছে। ওরা চলে যেতেই এলা আবার আগের মতো। ঢেউয়ের মতো উচ্ছ্বসিত। বং এর দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে বললো,
-ওরা খুব মজা পেয়েছে। তাই না রে!
বং স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো ওরা সরে যাওয়ায়।
-আরেকটি আঁচড় দেই? এলার কথায় তীব্র বেগে দু’পা পিছিয়ে গেলো। ভান করলো যেনো সাংঘাতিক ভয় পেয়েছে বং। হাসি আরো বিস্তৃত হলো এলার। বং হাত তুলে দেখালো সাগরের সীমান্তে।
-ওই দ্যাখ, সূর্য ডুবছে। যেটি দেখার জন্যে তুই এতদূর এসেছিস।
হঠাৎ ভীষণ রকম শান্ত দেখায় এলাকে। তার চোখ স্থির হয়ে আছে জেলেদের ঘিরে জমে ওঠা ভীড়ে। সাগরের উঠেছে সোনালি রঙের ঢেউ। এই মুহুর্ত যেনো শুধু সূর্যের। ইচ্ছে মতো সবদিকে বিলিয়ে দিয়েছে তার গাঢ় কমলা সোনালি আভা। জেলের দল, ওখানে ভীড় করা লোকজন, এলা সবাই ডুবে গেছে ওই আলোয়।
-ওই জালে কি একটা পাঁচ বছরের বাচ্চাও উঠে এসেছে বং?
কথা নয়। এলা যেনো দশ নম্বর বিপদ সংকেত দিলো। এখনই এখান থেকে সরে যাওয়া দরকার। কিন্তু যা ঘটার তা ঘটে গেছে। এখন বিপরীত কিছু করতে চাওয়া মানে সাইক্লোনকে আসার আগে ডেকে আনা। সূর্যটা যেনো হঠাৎ করেই হারিয়ে গেলো অথৈ পানির নিচে। অন্ধকার নেমে আসছে। বং আর দেরি করলো না। এলার হাত ধরে হাঁটা শুরু করলো পেছনের দিকে। আরো এক বছর আগের এলাকে সে দেখতে চায় না এখানে। সাগর পেছনে রেখে বং একরকম ছুটছে লাবণী পয়েন্টের পাকা রাস্তার দিকে।
সবাই ধরেই নিয়েছিলো এলা পাগল হয়ে গেছে। কিন্তু ধৈর্য্য হারায়নি বং। ধীরে ধীরে তাকে অভ্যস্ত করছে স্বাভাবিক জীবনে। কঙবাজার ঘুরাতে নিয়ে আসা একটি পরীক্ষামূলক চিকিৎসা। একটা ব্যথাতুর কালো সময়কে মুছে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা। বং নিজেও ভুলে যেতে চায় একটি এগারো তারিখকে। অফিসের কাজে বং ছিলো ঢাকায়। বাসায় বসে বসে বিরক্ত হয়ে ওঠা ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলো এলা। পতেঙ্গা সৈকতে মানুষের ভিড় ছিলো না আগের মতো। খুব সুন্দর হয়েছে এই জায়গাটা। ছেলেকে মনে হচ্ছিলো একটা গাঙচিল উড়ছে। খোলা জায়গা পেয়ে সে কী উচ্ছ্বাস তার! মায়ের ফোন থেকে ভিডিও কলে বাবাকেও সাথে রেখেছিলো তার এই আনন্দে। দেখালো মায়ের কিনে দেয়া ডলফিন ঘুড়ি কেমন করে উড়ছে আকাশে। বং দুষ্টুমি করে চোখ বড়ো করে ছেলেকে বলেছিলো,
-ডলফিন আকাশে উড়ছে! কী অদ্ভুত কাণ্ড!
বাবার চোখ কপালে দেখে কুটকুট করে হাসে রিবেং। বলে,
-এটি সত্যি সত্যি ডলফিন নাকি! ঘুড়ি ডলফিন। দেখো কত্তো উপরে উড়ে!
মায়ের হাতে ফোন রেখে বীচে ছুটছে সে। কিছু দূরে বসে গল্প করছিলো পাঁচ সাতজনের একটি দল। রিবেং খুব মিশুক মা-বাবার মতো। কিছুক্ষণের মধ্যে বেশ ভাব হয়ে গেলো তাদের সঙ্গে। এলা দেখলো তাদের একজন উঠে এসে ঘুড়ি নিয়ে খেলছে রিবেংয়ের সঙ্গে। মাঝে মাঝে মা’কে ডাক দিয়ে দেখাচ্ছে তার ঘুড়ির ওড়াউড়ি। সন্ধ্যার চাদর নেমে আসছে। বাসায় ফেরার জন্য রিবেংকে ডাক দিলো এলা।
এলা ফিরেছিলো। রক্তাক্ত, অর্ধমৃত একটি দেহ হয়ে। এলাকার মানুষ তাকে উদ্ধার করেছিলো কোস্টাল রোডের পাশের ঝাউবন থেকে। খবর পেয়ে ঢাকা থেকে সেদিনই ফিরেছিলো বং। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি এলা কেমন নিস্তেজ। সারা শরীরে অসংখ্য ক্ষত। হুঁশ আসলেই বেড থেকে নেমে যাচ্ছে। বিড়বিড় করে বলছে,
-আমি দেখেছি, ওরা আমার রিবেংকে মারছিলো। যার সাথে ঘুড়ি উড়িয়েছিলো ও-ই তো তাকে সাগরের জলে ছুঁড়ে মারলো। আমার ছেলের ঠাণ্ডা লাগবে। ও সাঁতার শেখেনি। পানিতে ডুবে যাবে। আমি যাই। নিয়ে আসি তাকে।
নার্স এসে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেয়। বং স্তব্ধ হয়ে বসে থাকে এলার পাশে। পরদিন পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়, ‘বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার এক নারী’। পাগলের মতো বং ছুটছে কখনো পতেঙ্গায় রিবেংয়ের সন্ধানে। কখনো থানায়। হাসপাতালে এলার বেডের পাশে বসে ছোট্ট ছেলের মতো কাঁদে। ইঞ্জেকশনের প্রভাবে বেঘোরে ঘুমায় এলা। প্রায় একমাস পর বং বাসায় ফিরে একটি জীবন্ত লাশ নিয়ে। হাসপাতাল থানা ছেলের খোঁজে ব্যস্ত বং বুঝতেই পারেনি, তাদের বাসার চারপাশের বদল। এলাকে নিয়ে যখন বাসার গেটে নামলো, গেটের দারোয়ানের ব্যবহার কেমন তাচ্ছিল্য ভরা। প্রতিবেশী মানুষগুলো কেমন অপরিচিতের মতো। অপরাধ যেনো এলার। যারা ধর্ষণ করেছে তাদের নয়।
দুই তিন মাস পেরিয়ে যায়। অনেককিছু বদলে যায়। সবচেয়ে বড়ো যে বদল, সেটি-এলা আর বিশ্বাস করে না বংকে। কিন্তু এটি সে কখনো প্রকাশ করে বলে না। নিশ্চুপ থেকেই সে যেনো ক্রমাগত অভিযোগ করে যায়। ডাক্তার বলেছেন, তাকে কোনোকিছুই জোর করে বোঝানোর চেষ্টা না করতে। ঘটনার দু’ তিন দিন পর রিবেংয়ের ফুলে ওঠা দেহটি উদ্ধার হয়েছিলো সে কথা এলাকে বলা হয়নি বংয়ের। বলেনি চারজন আসামি ধরা পড়েছে। শারীরিক ক্ষত সেরে উঠলেও মানসিক ক্ষত শুকোয় না এলার। হাসপাতালে থাকাকালীন রিবংয়ের কথা জিগ্যেস করতো। কিন্তু হাসপাতাল থেকে আসার পর সে আর কখনো জিগ্যেস করেনি তার কথা। একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অষুধের পাশাপাশি কাউন্সেলিং করে এলাকে। মেয়ে ডাক্তার। তাঁর সঙ্গে বেশ সাবলীল সে। কথা বলে। হাসে। খিলখিল করে হাসে।
বছর গড়িয়ে গেছে। স্বাভাবিকের মধ্যেও কোথায় যেনো ছন্দ পতন রয়েই যায়। বং আশ্চর্য হয়ে যায়, ভুলেও এলা কখনো রিবেংয়ের কথা বলেনি। আজ এক বছর পর হঠাৎ ওই প্রশ্নে প্রচণ্ড ভয় পায় বং। এলা একদিন পুরোপুরি তার মানসিক ভারসাম্য ফিরে পাবে, এই আশায় দিন গুনছে সে। আবার কোনো এক ভোরে একটি মিষ্টি হাসি দিয়ে বলবে,
-বং তুই এতো ভালোবাসিস কেনো আমাকে?
বংয়ের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এলা ছুটে যাচ্ছে জেলেদের কাছে। পূর্ণিমার গোল চাঁদটির আলো বালির উপর। এই আলো কেমন নীলাভ। এলার খোঁপা ভাঙা চুল বাতাসে উড়ছে। সাগরে জোয়ারের গর্জন। বালির ওপর বসে পড়ে বং। প্রচণ্ড ক্রোধে নিজে নিজে আওড়ায়- একটি ধর্ষকের ফাঁসি যদি প্রকাশ্যে হতো!

পূর্ববর্তী নিবন্ধচমেক হাসপাতাল ক্যান্সার ওয়ার্ডে বিশুদ্ধ পানির মেশিন প্রদান
পরবর্তী নিবন্ধচিরঞ্জীব প্রিয় আজাদী