জয়তু নারী

তহুরা পিংকী | রবিবার , ১০ মার্চ, ২০২৪ at ৯:০৯ পূর্বাহ্ণ

নারীর কথা বললেই মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথের কথা, যিনি লিখেছেন-“ডান হাতে তোর খরগ জ্বলে বা হাতে করে শংকা হরণ, দুই নয়নে স্নেহের হাসি ললাট নেত্র আগুন বরণ।অথবা মনে পড়ে নজরুলের সেই বিখ্যাত চরণ-“বিশ্বে যা কিছু সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।৮ মার্চ ছিলো বিশ্ব নারী দিবস। নারীর জন্য ঘনঘটা করে একদিন নয় বরং প্রতিটি দিন হোক নারীর প্রতি সম্মান জানানোর দিন। প্রকৃত অর্থে আমাদের একটি মানুষ দিবস দরকার। যুগে যুগে মাদার তেরেসা, বেগম রোকেয়ার মতো বহু মহীয়সী নারীর পদার্পণ হয়েছে। নারী মানে মা। একজন নারীই পারে অনাগত শিশুর সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে। ইসলাম ধর্মেও নারীকে সঠিক মর্যাদা দেয়া হয়েছে। একজন নারী সর্বোপরি ভূমিকা পালন করে। ভালোবাসা আর দায়িত্ব নিয়ে নারী পারে সমাজ ও পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে। কর্পোরেট জগতেও আজ নারীরা এগিয়ে। নারীর তুলনা নারী নিজেই। নারীদের সাফল্য আজ বিশ্ব দরবারে। একজন নারী সর্বগুণে অনন্যা। কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে নারীরা আমাদের সমাজে আজও অবহেলিত। নারীর সঠিক মূল্যায়ন করা হয় না। নারীপুরুষ নিয়ে সমাজ, অথচ নারীর নিরাপত্তা কোথাও নেই। না ঘরে না বাইরে। উদ্ভট সমাজ নারীকে একটি ধাঁচে ফেলার চেষ্টা করে। প্রতি নিয়ত নারীরা সামাজিক সহিংসতার শিকার হয়। একজন নারীর সাথে অন্যায় হলে আমরা কি সত্যিই আওয়াজ তুলি? যে জাতির অর্ধেক সংখ্যাই নারী, সেখানে নারীর মর্যাদা কতটুকু? প্রকৃত অর্থে নারী দিবসে নারীর আত্মসম্মানে বাঁচার অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হোক নিজ ঘর থেকেই। পুরুষ হোক নারীর সহযোদ্ধা। স্বমহিমায় এগিয়ে যাক নারীরা। ভালো থাকুক বিশ্বের সব নারীরা, নিরাপদে থাকুক। জয়তু নারী!

পূর্ববর্তী নিবন্ধগ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা বাড়ানো হোক
পরবর্তী নিবন্ধনারী বিষয়ের ওপর বিনিয়োগ করুন : দ্রুত উন্নতি আনুন