জনগণ আজ সর্বগ্রাসী সংকটে উত্তরণে দরকার কার্যকর পদক্ষেপ

ইসলামী ফ্রন্টের বিভাগীয় সমাবেশে মতিন

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৯ মার্চ, ২০২৩ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

স্বাধীনতার বায়ান্ন বছর চললেও কীভাবে জাতীয় নির্বাচন হবে এই প্রশ্নে এখনো রাজনৈতিক দলগুলো একমত হতে না পারাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মতিন। তিনি বলেন, জনগণ আজ সর্বগ্রাসী সংকটেদুর্দশায় দিনাতিপাত করছে। দেশবাসী আজ বিপন্ন ও দিশেহারা। এ থেকে উত্তরণে কার্যকর পদক্ষেপ দরকার। অথচ বড় দুই দল জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতার রাজনীতিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।

গতকাল শনিবার নগরের জমিয়তুল ফালাহ্‌ মসজিদ ময়দানে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সংবিধান সংশোধন করে স্বাধীন নিরপেক্ষ শক্তিশালী কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সংকটের স্থায়ী সুরাহা করতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি।

ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ আল্লামা তৈয়ব আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা স উ ম আবদুস সামাদ। মহাসমাবেশে পেশকৃত ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ইসলামী ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেচট্টগ্রামে মাওলানা মুনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর (রহ.) নামে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, আসন্ন বর্ষার আগে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করা, নগরে অসহনীয় যানজট কমাতে ট্রাফিক ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা, উত্তর চট্টগ্রামের যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করতে জানালী হাট রেল স্টেশন থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণ করা, কালুরঘাটে অবিলম্বে নতুন দ্বিমুখী সড়ক ও রেল সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়ে বোয়ালখালীকে উপশহর হিসেবে গড়ে তোলা, চট্টগ্রামের আনোয়ারাকর্ণফুলীবন্দরকে ঘিরে ওয়ান সিটি টু টাউন সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন করা। মাওলানা স উ ম আবদুস সামাদ বলেন, দেশবাসী আজ ভালো নেই। দেশে এখন মাত্র দুটি শ্রেণি উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্ত। মধ্যবিত্ত শ্রেণি আজ উধাও। জীবন যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে গরিব মানুষেরা। অথচ জনগণের দুঃখদুর্দশা বঞ্চনার অবসানে কোনো দলই আন্তরিক নয়। মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসাইন, মুহাম্মদ এনামুল হক ছিদ্দিকী ও মুহাম্মদ আখতার হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা রেজাউল করিম তালুকদার। অন্যান্যের মধ্যে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা কাজী মঈনুদ্দীন আশরাফী, মহাসচিব আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলা, আল্লামা হাফেজ আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী, অধ্যক্ষ ড. ইছমাঈল নোমানী, অ্যাডভোকেট আবু নাছের তালুকদার বক্তব্য রাখেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধরাসূল প্রেমের ঐশী জাগরণ হযরত গাউছুল আজমের (রা.) তরিক্বত