যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ ছয় দেশের মিশন প্রধানরা চলাচলের ক্ষেত্রে বাড়তি যে নিরাপত্তা সুবিধা (পুলিশ এসকর্ট) এতদিন পেয়ে আসছিলেন, তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থাৎ, বাংলাদেশে অন্য সব দেশের মিশন প্রধানরা যে নিরাপত্তা সুবিধা পান, এখন থেকে ওই ছয় দেশের ক্ষেত্রেও সেটাই প্রযোজ্য হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গতকাল সোমবার জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতরা যে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বা এসকর্ট সুবিধা পেতেন, তা আমরা আর দেব না। এমন সিদ্ধান্তের কারণ হিসাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছয়জন অতিরিক্ত এই সুবিধা পেতেন, এখন অন্যরাও চাইছে। কিন্তু আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন এমন নাই যে কারও বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন হবে। সে কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশে এ ধরনের কোনো সুবিধা দেওয়া হয় না। আমরা একই রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খবর বিডিনিউজের।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত রোববার থেকেই কার্যকর হয়েছে বলে গতকাল সোমবার জানিয়েছেন উপ–কমিশনার (মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন। পুলিশ সদস্যের সংকটের কারণে আপতত এই সুবিধা বন্ধ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে, ভারত, সৌদি আরবসহ গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রসমূহের রাষ্ট্রদূতের গাড়ির আগে পেছনে দুটি প্রটেকশন গাড়ি থাকে। এটা বহাল আছে। তবে পেছনের প্রটেকশনের গাড়ির পেছনে আরেকটি গাড়ি থাকত (৬ মিশন প্রধানের ক্ষেত্রে), সেটা পুলিশ সংকটের কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পেছনের গাড়ির পেছনে যে আরেকটি গাড়ি থাকত এটা ছিল অতিরিক্ত সুবিধা। কোনো পুলিশ সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়লে বা গাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে এই অতিরিক্ত সুবিধাটি দেওয়া হত। বর্তমানে পুলিশ সংকটের কারণে আপাতত প্রত্যাহার করা হয়েছে। সংকট দূর হলে আবার তা দেওয়া হবে। তবে এর মধ্যে যদি তারা আনসার সদস্য চায় তা নেওয়ার তাদের সুযোগ রয়েছে।