নির্বাচনকালীন সরকার হলেও বিএনপির সুযোগ নেই

যারা নিষেধাজ্ঞা দেবে তাদের কিচ্ছু কিনব না রিজার্ভ নিয়ে এত দুশ্চিন্তার কারণ নেই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী

আজাদী ডেস্ক | মঙ্গলবার , ১৬ মে, ২০২৩ at ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ গঠন করা হলেও সংসদে না থাকায় বিএনপির সেই সরকারে থাকার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা এইটুকু উদারতা দেখাতে পারি, পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য যারা আছে, তাদের মধ্যে কেউ যদি ইচ্ছা পোষণ করে নির্বাচনকালীন সময়ে তারা সরকারে আসতে চায়, সেটা আমাদের মধ্যে আছে। এমনকি ২০১৪ সালে খালেদা জিয়াকেও আমরা আহ্বান করেছিলাম, তারা তো আসেনি। এখন তো তারা নাইও পার্লামেন্টে, কাজেই ওটা নিয়ে চিন্তারও কিছু নেই।

সাম্প্রতিক ত্রিদেশীয় সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে গতকাল গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই এক সাংবাদিকের প্রশ্নে নির্বাচনকালীন সরকার এবং বিএনপির প্রসঙ্গ আসে। শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার, আমরা ওয়েস্টমিনস্টার টাইপ অব ডেমোক্রেসি ফলো করি, তারা যেভাবে করে আমরা সেভাবেই করব।

নির্বাচনের আগে কোনো চাপ আছে কিনাএমন প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন আসতেছে, আমি কি ভয় পাব? কেনো ভয় পাব? আমি জনগণের জন্য কাজ করছি। জনগণ যদি ভোট দেয় আছি, না দিলে নাই। আমাদের যে টার্গেট, সেটার মধ্যে বাংলাদেশ ডেভেলপিং কান্ট্রির মর্যাদা পেয়েছে। আর ইলেকশন করব এই কারণে যে, আমি ২৪এ করতে পারি নাই করোনাভাইরাসের কারণে, আমি ২৬এ করে দিয়ে যেতে চাই।

আন্দোলনের টাকা কোথা থেকে আসে? : বিএনপির আন্দোলনের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মাইক লাগিয়ে আন্দোলন করেই যাচ্ছে, সরকার হটাবে, আমরা তো তাদের কিছু বলছি না। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম আমাদেরকে কি নামতে দিয়েছে? গ্রেনেড হামলা করেও হত্যা করার চেষ্টা করেছে। ২১ হাজার নেতাকর্মী আমাদের হত্যা করেছে। আগুনে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে। খবর বিডিনিউজের।

২০১৩১৫ সালে বিএনপির আন্দোলনের সময় জ্বালাওপোড়াওয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচন ঠেকাতে পাঁচশ স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে, সাড়ে তিন হাজার লোক আগুনে পোড়া, তিন হাজার আটশটি গাড়ি পুড়িয়েছে, ছয়টি রেল পুড়িয়েছে, নয়টা লঞ্চ পুড়িয়েছে, ৭০টা সরকারি অফিস পুড়িয়েছে। তারপর জ্বালাওপোড়াও এগুলো করে গেছে। আন্দোলন করুক, মানুষ আনুক, এতে কোনো সমস্যা নাই। শুধু জ্বালাও পোড়াও যদি করতে আসে, কোনো মানুষকে যদি পোড়ায়, তাকে ছাড়ব না। মানুষের ক্ষতি আর করতে দেব না। পোড়া মানুষগুলোর কষ্ট দেখলে আপনাদের কষ্ট হয় না? এক একটা পরিবার আজকে কি দুরবস্থায় আছে কেউ কি খবর নিয়েছেন, খবর রাখেন?

বিএনপির আন্দোলনের অর্থায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর কার কথায় আন্দোলন করছে, কোথা থেকে টাকা পাচ্ছে? বাংলাদেশের মানুষ কি অন্ধ হয়ে গেছে? চোখে দেখে না? হাজার হাজার কোটি টাকা তো লোপাট করে নিয়েই গেছে। আর কাদের মদদে করছে সেটা একটু খোঁজ নেন না। এত টাকা কোথায় পাচ্ছে, এই যে লোক নিয়ে আসে, প্রতিদিন মাইক লাগিয়ে বক্তব্য দিচ্ছে, এগুলো তো বিনা পয়সায় আর হচ্ছে না। কত টাকা পাচ্ছে, কত লোক আনছে, মোটরসাইকেলে কত লোক চড়বে, সেসব হিসাব তো আছে। সেগুলো আপনারা দেখেন না কেন? জিজ্ঞাসা করেন। প্রতিদিন তাদের এই আন্দোলন।

রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করার প্রসঙ্গ তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, গাজীপুরে রাস্তা বন্ধ করে মিটিং হলো। কোন এক সংবাদপত্রে প্রশ্ন তুলেছে? প্রতিদিন বিএনপি যে অর্থনৈতিক হার্ট অব দ্য সিটি, সেইখানে বিএনপি যে তাদের অফিসের সামনে রাস্তা বন্ধ করে মিটিং করে, এই যে জ্ঞানী লোক কথা বললেন, এই দৃশ্য চোখে পড়ে না? প্রেস ক্লাবের সামনে, পুরানা পল্টনে, সব জায়গায় রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করে, এটা চোখে পড়ে না? যারা এই কথাগুলো বলেছে, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, এটা তো নির্বাচনী প্রচার, নির্বাচনী প্রচারে এমন হতে পারে? বিএনপি রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করে, আমি জানি এই আন্দোলন করে কোথাও থেকে লাভবান হচ্ছে। যত পারে আন্দোলন করুক, আমার কোনো ব্যপার না। আমি আমার জনগণের সঙ্গে আছি। জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, জনগণের আস্থা বিশ্বাসই আমার একমাত্র শক্তি।

তিনি বলেন, আমি আমার দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যারা আমার দুর্বলতা খোঁজে, মানি লন্ডারিং করেছে তো খালেদা জিয়ার দুই ছেলে। ৪৪ কোটি টাকা তো উদ্ধার করে নিয়ে আসছি। এখনও বিএনপির বহু নেতারা টাকা বিদেশের ব্যাংকে জমা আছে, কারও কারও টাকা ফ্রিজ করা আছে। মানি লন্ডারিং করে কারা টাকা বিদেশে নিয়ে যেয়ে বড় বড় নাম কিনেছে, সেটাও খুঁজে বের করেন আপনারা। এটা করতে তো আপনাদের দেখি না।

যারা নিষেধাজ্ঞা দেবে, তাদের কিচ্ছু কিনব না : বাংলাদেশের ওপর যারা নিষেধাজ্ঞা দেবে, সেসব দেশের কাছ থেকে কেনাকাটা না করার জন্য সরকারি ক্রয়বিধিতে নতুন ধারা যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমি আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয়কে বলে দিচ্ছি, আমাদের কেনাকাটা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে বলে দিয়েছি, এখন থেকে আমরা যে বিদেশ থেকে জিনিসপত্র ক্রয় করি, সেখানে আমাদের একটা ক্লজ থাকবে যে, যারা আমাদেরকে স্যাংশন দেবে, তাদের থেকে আমরা কোনো কিছু কেনাকাটা করব না।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে তিনি ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান। বাংলাদেশের ওপর যারা নিষেধাজ্ঞা দেবে, তাদের কাছ থেকে কিছু না কেনার সিদ্ধান্ত জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পরিষ্কার কথা, এতে সংকট আর ভয়ের কী আছে? আমরা তো কারও উপর এই রকম নির্ভরশীল না এখন।

গুরুতর’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর এলিট ফোর্স র‌্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এরপর বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হলেও যুক্তরাষ্ট্রের সাড়া মেলেনি। যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বলে আসছে, নিষেধাজ্ঞা উঠানোর প্রক্রিয়া বেশ ‘জটিল’।

এর মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডনাল্ড লু’র ঢাকা সফরের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছিলেন, র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা অচিরেই উঠে যাবে বলে তার আশা। তবে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র জেফ রাইডেনাওয়ার পরদিন জানান, বিচারবহির্ভূত হত্যা কমে আসায় র‌্যাবের প্রশংসা করলেও এই বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে কোনো সময়সীমার ইঙ্গিত দেননি ডনাল্ড লু। শনিবার এক অনুষ্ঠানে কেনাকাটার ক্ষেত্রে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে ধারণা দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর গতকাল সংবাদ সম্মলনে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। ক্রয়বিধিতে নতুন ধারা যুক্ত করার আগেই এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কেনাকাটা সংক্রান্ত দুটি বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, আমাদের ওপর যারা স্যাংশন দেবে তাদের কাছ থেকে কিচ্ছু কিনব না। পরিষ্কার কথা। এর মধ্যে দুটা অ্যাকশন আমি নিয়েছি, আগেই। কোন কোন ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বলব না আমি সব তথ্য। সাংবাদিকরা খবর না রাখলে আমি কেন বলব।

তাতে কি হয়েছে? আমার কিচ্ছু হয়নি : মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে কী কারণে স্যাংশন দিল? যাদেরকে দিয়ে আমরা সন্ত্রাস দূর করলাম, যাদেরকে দিয়ে দেশে শান্তি

২০১৬ সালে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তারপর এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটতে পারেনি। কারণ, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ভালোভাবে কাজটা করেছে, গোয়েন্দা সংস্থা তাদের নজরদারি এত ভালোভাবে করেছে, আর কোনো ঘটনা ঘটাতে পারেনি। এরপরও স্যাংশনটা কীসের জন্য, সেটাই তো আমার প্রশ্ন।

উন্নত দেশেও মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য সংকট চলার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেদিক থেকে আমরা আমাদের মানুষদেরকে প্রণোদনা দিয়েছি। এবার রোজার সময় তো কোনো হাহাকার শোনা যায়নি। গেছে?

তিনি বলেন, আমাদের এত দুশ্চিন্তা কিসের? কথা নাই বার্তা নাই স্যাংশনের ভয় দেখাবে আর আমরা ভয়ে বসে থাকব, কেন? আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, যারা আমাদের সপ্তম নৌবহরের ভয় দিয়েছিল, আমরা সেটাও পার করে বিজয় অর্জন করেছি। এ কথা ভুললে চলবে না। আত্মবিশ্বাসটা নিয়ে চলতে হবে। আত্মবিশ্বাস থাকলে এক বেলা খেয়ে থাকব, তাতেও অসুবিধা নাই।

বাংলাদেশের কিছু নাগরিকই দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে বিদেশে যায় বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজের ভাঁড় ভালো নাই, ঘিওয়ালার দোষ দিয়ে লাভ কী? তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয়টি হলো, আমাদের দেশের কিছু মানুষই বাংলাদেশের বদনাম করে। তাদের স্বার্থ রক্ষা, অথচ তারা যে কত রকম দুর্নীতি, অপকর্ম, কতকিছুর সাথে জড়িত, সেগুলো তো আমাদের সাংবাদিকরা খুঁজে বের করে না। খুঁজলে দেখা যাবে অনেক কিছু পাওয়া যাবে। এরাই বাংলাদেশের বদনাম করে।

এক্ষেত্রে শ্রম ও পরিবেশ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিদের কথা আলাদাভাবে তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কিছু শ্রমিক নেতা আছে, নিজেরা খাবেন দাবেন, আরামআয়েশে থাকবেন, দামি গাড়িতে চলবেন, পরিবেশ নিয়ে আন্দোলন করেন, দামিদামি গাড়িতে চলেন। মামলা করেন, মামলা করে কয়টা মামলার রায় পাওয়া গেছে? প্রথমে মামলা, পরে আসে নেগোসিয়েশন। নেগোসিয়েশন মানেই তো আদানপ্রদান। এবং আয়েশে থেকে বাংলাদেশের বদনামটা করে আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের লোকরা গিয়েই তো বিভিন্ন জায়গায় বদনামটা করে আসে। এটাই দুর্ভাগ্যজনক। সাংবাদিকরা যদি এদিকটায় নজর দেন, অনেক কিছু পাবেন, অনেক তথ্য পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশ একটা উর্বর ভূমি। বাংলাদেশের মানুষ অনেক শক্তিশালী। আমাদের নারী সমাজ, যুব সমাজ, সাধারণ মানুষ প্রত্যেকে কাজ করে, আমরা নিজেদের কাজ করে নিজেরা খাব। আমাদের ওপর যারা স্যাংশন দেবে তাদের কাছ থেকে কিচ্ছু কিনব না।

রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই : বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ এখন যে পর্যায়ে আছে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ দেখছেন না প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আমাদের সেইটুকু থাকা দরকার, যদি কোনো আপৎকালীন সময় হয়, যেমন এই ঝড়ঝঞ্ঝা, এ রকম ক্ষেত্রে, আমাদের খাদ্য কিনতে যদি ঘাটতি দেখা দেয়, সেই খাদ্য কেনার মতো, অর্থাৎ তিন মাসের খাদ্য কেনার মতো ডলারটা যেন আমাদের হাতে থাকে। ওইটা নিয়েই রিজার্ভের জন্য চিন্তা। এছাড়া রিজার্ভের এত চিন্তা না।

তিনি বলেন, ডলার সংকট এখন পুরো বিশ্বব্যাপী, এটা শুধু বাংলাদেশে না। প্রথম গেল করোনা অতিমারী আর তারপর ইউক্রেনরাশিয়া যুদ্ধ, আর সেই যুদ্ধের সাথে স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন। যার ফলে আজকে সারা বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি যেভাবে বেড়ে গেছে। দ্বিতীয় হচ্ছে পরিবহন, পরিচালন ব্যয় বেড়ে গেছে, যার কারণে ডলার সংকটটা এখন সমগ্র বিশ্বেই রয়ে গেছে। ডলার আর রিজার্ভ নিয়ে বেশি বেশি কথা বলতে বলতেই সবার মাথায় ‘ওই রিজার্ভই ঢুকে গেছে’ বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছয় রাষ্ট্রদূতের চলাচলে বাড়তি নিরাপত্তা আর দেবে না সরকার
পরবর্তী নিবন্ধঅবশেষে এলো গ্যাস