ছাড় পেয়ে খুশি ভবন মালিক

মেয়রের উপস্থিতিতে ৩শ আপিল নিষ্পত্তি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৩ মার্চ, ২০২৩ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্থিতিতে নিষ্পত্তি করা হয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রস্তাবিত হোল্ডিং ট্যাক্সের ৩০০ আপিল। মেয়র করদাতাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী গৃহকর সহনীয় করে দেন। এ সময় বিপুল অংকের ছাড় পেয়ে খুশি হয়ে বাড়ি ফিরেছেন হোল্ডিং মালিক বা করদাতারা। গতকাল আন্দরকিল্লা নগর ভবনের কেবি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আপিল শুনানিতে এ ছাড় দেয়া হয়। মেয়র আপিল শুনানিতে উপস্থিত হয়ে করদাতাদের কাছে জানতে চান, আপনি কত কর দিতে পারবেন? তখন করদাতারা নিজের সামর্থ্য জানালে সে আলোকে কর নির্ধারণ করে দেন।

করদাতা আবুল মুনছুর চৌধুরী বলেন, ৯ লাখ ২৮ হাজার টাকার ভ্যালুয়েশনকে মেয়র দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। এতে আমি খুশি। পশ্চিম মাদারবাড়ির মো. এয়াকুব বলেন, আমার ৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকার ভ্যালুয়েশনকে মেয়র দেড় লাখ টাকা করে দিয়েছেন।

শুনানির শুরুতে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, কিছু অসাধু লোক নগরের করদাতাদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের ব্যাপারে নগরবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমি চট্টগ্রামের ছেলে। যে চট্টগ্রামের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছেন, তারা গৃহকর নিয়ে ভোগান্তিতে পড়বেন এটা আমি কখনো হতে দেব না।

মেয়র বলেন, ২০১৭ সালে যে কর মূল্যায়ন করা হয়েছিল তাতে অনেক অসঙ্গতি ছিল। যার কারণে সাবেক মেয়র মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী নেতৃত্বে নগরবাসী আন্দোলন শুরু করলে সরকার তা আমলে নিয়ে স্থগিত করে। দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর ২০২২ সালে তা পুনরায় চালু করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আসে। যে কারণে আবার কর আদায়ের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

তিনি বলেন, কর মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অসঙ্গতি দূর করার জন্য ৮টি সার্কেলে আপিল বোর্ডে গঠন করা হয়। এর মধ্যে সাতটি সার্কেলের আপিল বোর্ডে আমার উপস্থিতিতে গণশুনানিতে অংশগ্রহণ করে করদাতারা হাসিমুখে বাড়ি ফিরে গেছেন।

মেয়র বলেন, রাজশাহী ও বরিশালে ২৭ শতাংশ ও রংপুরে ২০ শতাংশ পৌরকর নেয়া হয়। আমরা নিচ্ছি ১৭ পার্সেন্ট। গৃহকর সম্পর্কে মানুষের মাঝে দীর্ঘদিন ভুল ধারণা ছিল উল্লেখ করে তা থেকে বেরিয়ে এসে নগরবাসীকে গৃহকর প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।

আপিল রিভিউ বোর্ডের সভাপতি কাউন্সিলর শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, আবদুস সালাম মাসুম, পুলক খাস্তগীর, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রিভিউ বোর্ডের সদস্য প্রকৌশলী শহীদুল আলম, অ্যাডভোকেট তৌহিদুল আলম, কর কর্মকর্তা মো. সারেক উল্লাহ, উপকর কর্মকর্তা হাসান আহমেদ, তুষার কান্তি দাশ ও বিপ্লব কুমার চৌধুরী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনতুন করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে গৃহকর ইস্যু
পরবর্তী নিবন্ধমেডিকেল ভর্তির ফল প্রকাশ