চোরাই নয় টন স্টিল পাত উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৪ জুলাই, ২০২১ at ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বের করে গাজীপুরের একটি কারখানায় নেয়ার পথে আমদানি করা স্টিলের পাত লোপাটের অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত চারজনের মধ্যে একজন ‘পরিবহন ব্রোকার’। গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পশ্চিম মাদারবাড়ির একটি গুদাম থেকে লোপাটকৃত প্রায় নয় টন স্টিলের পাত উদ্ধার করা হয়েছে। সদরঘাট থানা পুলিশ জানিয়েছে, গাজীপুরের শফিপুরের মদিনা গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান তিনটি রোলে থাকা আট হাজার ৬৭০ কেজি স্টিলের পাত বিদেশ থেকে আমদানি করে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চালানটি খালাসের আগে ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি নিয়োগ দেয়া হয়। নগরীর মাদারবাড়ির লুপ ফ্রেইট লিমিটেড নামের একটি ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিকে স্টিলের পাতগুলো শফিপুরের কারখানায় পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। ব্রোকার মজিবুর রমান রিয়ালের মাধ্যমে ট্রাক ভাড়া করে স্টিলের পাতগুলো শফিপুর পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। গত ৩০ জুন স্টিলের চালানটি বন্দর থেকে ট্রাকে তুলে শফিপুরের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। কিন্তু গত ১২ জুলাই পর্যন্ত মালামালগুলো কারখানায় পৌঁছায়নি। ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি লুপ ফ্রেইটের মালিক আল মামুন ব্রোকার মজিবুর রহমান রিয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু রিয়েল তাকে কোনো সদুত্তর না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে। এ ব্যাপারে রিয়াল ও মাসুমকে আসামি করে মামলা হয়। রিয়ালকে আটকের পর তার তথ্য অনুযায়ী পশ্চিম মাদারবাড়িতে আমজাদ অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি গুদামে স্টিলের পাতগুলো পাওয়া যায়। পুলিশ রিয়ালের উদ্বৃতি দিয়ে জানায়, লোহার পাতগুলো শফিপুরের কারখানায় না পাঠিয়ে তারা সেগুলো আমজাদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের কাছে বিক্রি করে দেয়।’
পুলিশ জানিয়েছে, রিয়ালই সংঘবদ্ধ এই চক্রের নেতৃত্ব দিয়েছে। সে অপরাপর সদস্যদের সাথে যোগসাজশ করে চালানটি বিক্রি করে দিয়েছে। কদমতলীতে মাস্তানি করে বেড়ানো রিয়াল বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির ট্রাক ভাড়ার ব্যাপারে মধ্যস্ততা করে। সুবিধাজনক চালান পেলে সে ট্রাক ড্রাইভারের সাথে চালকের সঙ্গে যোগসাজশে বিভিন্ন চালান থেকে মালামাল আত্মসাত করে।
সোমবার রাতে নগরীর সদরঘাট থানার পশ্চিম মাদারবাড়ি দোভাষ সড়কের চৌধুরী মার্কেটের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গুদাম থেকে আট হাজার ৭৬০ কেজি স্টিলের পাত উদ্ধার করা হয়। এর আগেই রিয়ালসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অপর তিনজন হচ্ছে নুরুল হুদা, দুই পরিবহন শ্রমিক মোহাম্মদ মাসুম ও বাবুল মিয়া।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচাকরি হারা লিপি জীবন থেকেই হারিয়ে গেলেন
পরবর্তী নিবন্ধনোংরা পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ