আবার সেই চির চেনা মিরপুর স্টেডিয়ামের সবুজ চত্বরে এলেন সাকিব আল হাসান। গত এক বছর প্রচন্ড ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আইসিসির নিষেধাজ্ঞা নামতে পারেননি প্রিয় প্রাঙ্গণে। শেষ পর্যন্ত গত ২৯ অক্টোবর আইসিসির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় সবধরনের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত সাকিব। তবে দেশের বাইরে থাকায় সেদিনই প্রিয় শেরে বাংলায় নিজের চিরচেনা রাজ্যে পা রাখা হয়নি তার। দেশে ফিরেছেন গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। মাঝে তিনদিন কাটিয়ে গতকাল সোমবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গেলেন সাকিব। ২৯ অক্টোবর ২০১৯ থেকে ৯ নভেম্বর ২০২০। মাঝে কেটে গেছে ৩৭৬ দিন। বাংলাদেশ দল খেলেছে ১৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। যেগুলো খেলতে পারেননি সাকিব। করোনাভাইরাসের লকডাউনের কারণে বেশ কিছু সিরিজ স্থগিত হওয়াটা এক দৃষ্টি থেকে সাকিবের জন্য শাপে বরই হয়েছ। অবশেষে ৩৭৬ দিন পর আবারও মাঠে ফিরেছেন সাকিব। যেন আপন রাজ্য শাসন করতে ফিরে এলেন রাজা। অবশ্য মাঠে ফেরার আগেই ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে নিজের সিংহাসন ফিরে পেয়েছেন সাকিব। হয়েছেন আবারও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। গতকাল মিরপুরে মাঠে ফিরে এসে নিতে শুরু করেছেন জাতীয় দলে ফেরার প্রস্তুতি। তবে এখনই জাতীয় দলের কোনো ক্যাম্প বা সিরিজ নেই। যে কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার জন্য অপেক্ষা করতে হবে তাকে আরও কিছুদিন। চলতি মাসের শেষ দিকে হবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি লিগ। সেখানে খেলার সার্টিফিকেট পেতে আগে প্রমাণ দিতে হবে নিজের ফিটনেসের। সে লক্ষ্যেই গতকাল শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন সাকিব।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি লিগের প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগেই ফিটনেস টেস্টের ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। দুই দিনে মোট ১১৩ জন ক্রিকেটারকে দিতে হবে ফিটনেস টেস্ট। যার প্রথম দিনই ছিল সাকিব আল হাসানের নাম। সেজন্য গতকাল সকাল ১০টার আগেই শেরে বাংলায় উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। এদিকে আগামীকাল বুধবার ফিটনেস টেস্ট দেবেন সাকিব। দলের ফিজিও তুষার কান্তি বলেন, যাদের সঙ্গে সাকিবের বিপ টেস্ট হওয়ার কথা ছিল তাদের কারও কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হয়নি। এটা একটা ভাবনার কারণ। এছাড়াও সে দীর্ঘদিন পর ফিরেছে। ফিজিও-ট্রেনাররা তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন। এজন্যও একটু সময় লাগবে। বুধবার হতে পারে তার ফিটনেস টেস্ট।
