চালের বাজার নিম্নমুখী

বেড়েছে সরবরাহ, কেজিতে কমেছে ১-২ টাকা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৭ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ

ভারত চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পর চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে। তবে ভারত শুল্ক প্রত্যাহার না করলেও দেশের বাজারে চালের দাম কমে যাওয়ায় কমেছে ভারতীয় চালের দাম।
চালের আড়তদাররা বলছেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে। এরপর ভারত রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করে। এছাড়া দেশের বাজারে ডলার ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব তো ছিলই। তবে সবশেষে চালের বাজারে সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম বর্তমানে নিম্নমুখী। গতকাল নগরীর দুই প্রধান চালের আড়ত চাক্তাইয়ের চালপট্টি ও পাহাড়তলীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুদিনের ব্যবধানে বাজারে জিরাশাইল সিদ্ধ, নাজিরশাইল সিদ্ধ, স্বর্ণা সিদ্ধ, পাইজাম সিদ্ধ, মিনিকেট সিদ্ধ, মিনিকেট আতপ, কাটারিভোগ সিদ্ধ, কাটারিভোগ আতপ, বেতি আতপ ও মোটা সিদ্ধের দাম ৫০ কেজি ওজনের বস্তায় সর্বোচ্চ কমেছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
চালের আড়তদাররা জানান, বর্তমানে পাইকারিতে বেতি আতপ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকা, পাইজাম আতপ ২ হাজার ৮০০ টাকা, মোটা সিদ্ধ ২ হাজার ৪০০ টাকা, জিরাশাইল সিদ্ধ ৩ হাজার ৭০০ টাকায়। এছাড়া মিনিকেট সিদ্ধ ২ হাজার ৯৫০ টাকা এবং মিনিকেট আতপ ২ হাজার ৯০০ টাকায়। অন্যদিকে পাইজাম সিদ্ধ ২ হাজার ৯০০ টাকা, স্বর্ণা সিদ্ধ ২ হাজার ৭০০ টাকা, নাজিরশাইল সিদ্ধ ৩ হাজার ৯০০ টাকা, কাটারিভোগ আতপ ৩ হাজার ৮০০ টাকা ও কাটারিভোগ সিদ্ধ ৩ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএম নিজাম উদ্দিন আজাদীকে বলেন, সরবরাহ বাড়ার কারণে চালের বাজার বর্তমানে নিম্নমুখী রয়েছে। দেশের মোকামগুলোতে পর্যাপ্ত চাল রয়েছে। এর ফলে সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। চট্টগ্রাম চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর আজম আজাদীকে বলেন, ভারত থেকে আমরা কেবল বেতি আতপ চালটাই আমদানি করি। তবে এই এক ক্যাটাগরির চালের দাম ওঠানামার ওপর সব ধরনের চালে প্রভাব পড়ে। শুনেছি, ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম নিম্নমুখী। ফলে ভারতীয় আতপ চাল ৫০ কেজি বস্তায় ১০০ টাকা কমেছে। এছাড়া অন্যান্য দেশীয় চালেরও দাম নিম্নমুখী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইতিহাসের শিক্ষাকে মনে রাখা : নুরেমবার্গকে ভোলা যাবে না
পরবর্তী নিবন্ধগ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন বিষয়ে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি চাই