বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয় ও চাম্বল বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চাম্বল খাল দখল করে দোকান নির্মাণ করছে স্থানীয় কিছু লোক। এ খাল ভরাট করে ভবন নির্মাণের ফলে চাম্বল ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ড বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ তিন ওয়ার্ডে রয়েছেন ২০ সহস্রাধিক লোক।
জানা গেছে, এলাকার জনগণ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবুল হক চৌধুরীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাঁশখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক গতকাল সোমবার বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। সাধারণ স্থানীয়রা জানান, চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয় ও চাম্বল বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চাম্বল খাল হয়ে চাম্বল ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের পানি হায়দরী মুড়া, মিয়ার দোকান, ধুইল্যা ঝিরি, ছড়ার কুল, মইত্যার বিল, নোয়াপাড়া, হিন্দুপাড়া, কর্মকার পাড়া, বনিক পাড়া, মওলা পাড়াসহ আরো বেশ কিছু এলাকার বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলের পানি চাম্বল খাল হয়ে জলকদর খাল ও বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। কিন্তু চাম্বলের খালের দুপাশে অসংখ্য দোকানপাট গড়ে তোলা হয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় কিছু লোক স্কুল সংলগ্ন এলাকায় খালের মধ্যে পাকা দোকান নির্মাণ শুরু করে।
অভিযোগ পেয়ে বাঁশখালী সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক সোমবার বিকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। এ ব্যাপারে চৌকিদার আবদুর রশিদ বলেন, এখানে যদি দোকান হয় তাহলে পানি চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। এতে তিন ওয়ার্ডের কয়েকহাজার মানুষ পানিবন্দী হবে। চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, চাম্বল খাল দখল করে চিহ্নিত ব্যক্তিরা দোকান নির্মাণ করছে। তারা এ পর্যন্ত খাল দখল করে ৪০/৫০টি দোকান করেছে। প্রতিবাদ করলেও তারা বার বার এ কাজ করে যাচ্ছে। সাধারণ জনগণের কথা বিবেচনা করে আমি এর প্রতিবাদ করতে বাধ্য হচ্ছি।
বাঁশখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, অবৈধ ভাবে খাল দখল করে পাকা দোকান নির্মাণের অভিযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়েছে। তাদের নিজস্ব জায়গা ছাড়া সরকারি জায়গায় পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে কোনো দোকান করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
