চবি ও গুচ্ছ একই দিনে পরীক্ষা

বিপাকে বাণিজ্যের ভর্তিচ্ছুরা

| রবিবার , ১৪ আগস্ট, ২০২২ at ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা এবং ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা’ একইদিন হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ভর্তিচ্ছুরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝাড়ছেন ক্ষোভ। খবর বিডিনিউজের।

আগামী ২০ অগাস্ট সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা, যাতে অংশ নিতে বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরাও আবেদন করেছেন। ওই দিনই দুপুর ১২টায় গুচ্ছভুক্ত বাণিজ্য শাখার ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
মিলন শেখ নামের এক ভর্তিচ্ছু ফেসবুকে লেখেন, গুচ্ছ ও চবি উভয়েরই সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাদের ভুলের কারণে শিক্ষার্থীদের জীবন বিপর্যয়ে পড়বে তা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। হাজার হাজার শিক্ষার্থী টাকা খরচ করে আশা নিয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন করেছে। কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যাবে না।

তানজিমা আক্তার নামের এক ভর্তি পরীক্ষার্থী বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিব বলে ৮৫০ টাকা দিয়ে ফরম নিয়েছি। আমি বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থী। একই দিনে গুচ্ছ পরীক্ষা হওয়ায় আমাকে যে কোনো একটাতে অংশগ্রহণ করতে হবে। একটির পরীক্ষা হবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে, অন্যটি রাঙামাটিতে। এখন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। কোনটি রেখে কোনটি দিব।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কমিটির সচিব এস এম আকবর হোছাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে আমরা পরীক্ষার তারিখ জানানোর পর সেখান থেকে তারা পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত করে দেয়। ওই তারিখগুলোতেই পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেহেতু আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে, তাই এই পরীক্ষাগুলো পেছানোর সুযোগ নেই।

চবির বি ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার কো-অর্ডিনেটর এবং কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক জানান, ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উপস্থিতিতে সভা হয়। সেই সভায় ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। আমরা সেখানে আমাদের তারিখ নির্ধারণ করেছি। এর মধ্যে আবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটি কিভাবে বাণিজ্য শাখার পরীক্ষার তারিখ কিভাবে নির্ধারণ করেছে?

একজন ভতিচ্ছুর একই দিন দুই জায়গায় পরীক্ষা থাকায় তারা কীভাবে অংশগ্রহণ করবে, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটি এভাবে কেন ডেট দিলো? অনেক দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থী এখানে পরীক্ষা দিতে আসে। তাই আমরা পাশাপাশি দিনগুলোতে সমন্বয় করে পরীক্ষার আয়োজন করি। এখন পরীক্ষার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে গেছে। একটা করে পরীক্ষা তো পিছানো যাবে না। এক্ষেত্রে পরীক্ষা নিতে হবে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষে। এক্ষেত্রে পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমৃত ব্যক্তিকে ১০ দিনের মধ্যে হাজির হওয়ার নোটিশ!
পরবর্তী নিবন্ধনগর বিএনপির ইউনিট সম্মেলন শুরু