চন্দনাইশে আগুনে পুড়লো ৪ ভাইয়ের বসতঘর। এতে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
আজ মঙ্গলবার(২৪ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চন্দনাইশ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের দুলার মায়ের বাড়িতে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে চন্দনাইশ দমকল বাহিনীর একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শাহ আলম ও স্থানীয় বাসিন্দা মো. হেলাল উদ্দিন জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
এসময় আগুন দ্রুত চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং মুহূর্তেই ৪ ভাইয়ের বসতঘর গ্রাস করে নেয়। বসতঘরগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় আগুন আরো দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে চন্দনাইশ দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টার পর রাত সাড়ে ৮টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন আবদুল মালেক, খালেক, আবদুল মান্নান ও এনামুল হক।
অগ্নিকাণ্ডের সময় পরিবারের সদস্যরা এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারলেও কোনো মালামাল বের করতে পারেননি। ফলে চোখের সামনেই বাড়িতে রাখা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মূল্যবান মালামাল, কাগজপত্র সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ আবদুল মান্নান জানান, অগ্নিকাণ্ডের পরপর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে লাইন বন্ধ করার জন্য বার বার ফোন দিলেও তারা লাইন বন্ধ করেনি। এমনকি চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার অনেক পরে লাইন বন্ধ করা হয়। দ্রুত বিদ্যুৎ বন্ধ না করায় আগুন নেভাতে অনেক দেরি হয়।
তিনি জানান, পাকা বাড়ি তৈরি করার জন্য গত পরশু ব্যাংক থেকে নগদ ২ লাখ টাকা তুলে এনে বাড়িতে রেখেছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের সময় তার সমস্ত টাকা পুড়ে যায়। একইভাবে আবদুল খালেকের বাড়িতেও রাখা নগদ ১ লাখ টাকা পুড়ে যায়।
চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মো. শাহ আলম খান জানান, রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।