চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি

শেখ বিবি কাউছার | রবিবার , ১২ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ

৪র্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ আর পিছিয়ে নেই। যার কারণে আমরা এখন বুঝতে পারছি যে, বাংলাদেশ যদি এটার সাথে সমান তালে চলতে না পারে তাহলে বাংলাদেশ অগ্রসর হতে পারবে না। তাই আমরা বেশ কয়েক বছর ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা শুনতে পাচ্ছি, শুনতে পাচ্ছি শিল্প বিপ্লবের কথা। বলা হচ্ছে বর্তমান ইন্টারনেটই ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে বেগবান করবে। আসলে করছেও তাই। ৪র্থ শিল্প বিপ্লব ইতিমধ্যে কড়া নেড়ে আমাদের প্রত্যেকের ঘরে ঘরে প্রবেশ করে ফেলেছে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের তথ্য প্রযুক্তি খাতের পরিবর্তন, ইন্টারনেট অব থিংস, যন্ত্রপাতি পরিচালনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ,রোবোটিকস, জৈব প্রযুক্তি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো বিষয়গুলো ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সূচনা করছে। আর আপনি কি জানেন ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শিক্ষাখাত। আর এই শিক্ষাখাতকে ডিজিটালাইজড ব্যতীত আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়া প্রায় কঠিন বলা যায়। তাই শিক্ষক হিসেবে আমাদের ৪র্থ শিল্প বিপ্লব সম্পর্কে জানা অত্যন্ত প্রয়োজন।কারণ আমরা জানলেই জানবে আগামী প্রজন্ম।
সরকার ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবটিক্সসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে যুগোপযোগী সিলেবাস প্রণয়ন করা হবে। এ কারণেও শিক্ষার্থীদের মাঝে তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিজ্ঞানের বিষয়গুলোর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। যা অত্যন্ত ইতিবাচক। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ধাক্কায় জীবন ও জীবিকায় আসছে নানান পরিবর্তন। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন শ্রমবাজার। আবার চাকরিও হারাচ্ছে অনেকই। সামপ্রতিক সময়ে কর্পোরেট কোম্পানির চাকরিদাতাদের অভিযোগ, দেশে প্রতিদিন নতুন নতুন প্রযুক্তি যোগ হচ্ছে কিন্তু সেই অনুপাতে দক্ষ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন মানুষের সংখ্যা খুবই কম।তাত্ত্বিক জ্ঞান শিখে, যখন কেউ জীবন-জীবিকায় নামে তখন একটির সাথে অন্য আরেকটির মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই আমরা যদি আধুনিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত বিজ্ঞানমনস্ক, তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ এবং মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে না পারি তাহলে ভবিষ্যত পেশাজীবনে টিকে থাকা তাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। তবে আশার কথা হলো, আমাদের দেশের অনেক মেধাবী ছেলেমেয়ে এখন গুগল, মাইক্রোসফট, আমাজন, অ্যাপল, টেসলাসহ বিশ্বের নামীদামী ‘টেক জায়ান্ট ‘ কোম্পানিতে কাজ করছে।
লেখক : প্রভাষক, ইসলামের ইতিহাস সংস্কৃতি ও বিভাগ,
নোয়াপাড়া ডিগ্রি কলেজ, রাউজান, চট্টগ্রাম

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুক্তিযুদ্ধের বিজয় ধরে রাখতে হলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধকমছে বিটিসিএল-এর গ্রাহক সংখ্যা, বাড়ছে লোকসান : দায় কার