চতুর্থ শিরোপা জিতল চেন্নাই

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শনিবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২১ at ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

তৃতীয় শিরোপা জেতা হলো না কলকাতা নাইট রাইডার্সের। উল্টো চতুর্থ শিরোপা জিতে নিল চেন্নাই সুপার কিংস। ২০১৮ সালে সবশেষ শিরোপা জেতা চেন্নাই গত আসরে ফাইনালে গেলেও শিরোপা জিততে পারেনি। তবে এবারে ঠিকই আরো একটি শিরোপা জিতে নিল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। গতকাল শুক্রবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে চেন্নাই জিতেছে ২৭ রানে। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করে চেন্নাই শিরোপা তুলে নিয়েছে। ফাফ ডুপ্লেসিসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর শার্দুল ঠাকুর, জস হ্যাজেলউড এবং রবীন্দ্র জাদেজার চমৎকার বোলিং আরো একটি শিরোপা পাইয়ে দেয় চেন্নাইকে। ক্যারিয়ারের শেষ আইপিএলটাকে স্মরণীয় করে রাখলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি আরো একটি শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে। আর কলকাতাকে ফিরতে হলো হতাশা নিয়ে। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা চেন্নাই সুপার কিংস শুরুটা ভালই করেছিল। দুই ওপেনার গায়কোয়াড এবং ডুপ্লেসিস ৬১ রান তুলে নেন ৮.১ ওভারে। ৩২ রান করা গায়কোয়াডকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙ্গেন নারাইন। দ্বিতীয় উইকেটে রবিন উথাপ্পাকে নিয়ে আরো ৬৩ রান যোগ করেন ডুপ্লেসিস। ১৫ বলে ৩ ছক্কায় ৩১ রান করা উথাপ্পাকেও ফেরান নারাইন। তৃতীয় উইকেটে মঈন আলিকে নিয়ে আরো ৬৮ রান যোগ করেন ডুপ্লেসিস। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের শেষ বলে তৃতীয় উইকেট হিসেবে ফিরেন ডুপ্লেসিস। তবে ফেরার আগে ৫৯ বলে ৭টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৮৬ রান করে ফিরেন এই প্রোটিয়া তারকা। ২০ বলে ২টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মঈন আলি। ততক্ষণে চেন্নাই পৌঁছে গেছে ১৯২ রানের পাহাড়ে। কলকাতার পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন সুনীল নারাইন।
১৯৩ রানের বিশাল পাহাড় টপকাতে গিয়ে কলকাতার শুরুটাও বেশ ভাল হয়েছিল। দুই ওপেনার শুভমান গিল এবং ভেংকটেস আইয়ার মিলে ১০.৪ ওভারে তুলে নেন ৯১ রান। শারদুল ঠাকুর ভাঙ্গেন এ জুটি। তিনি ফেরান ৩২ বলে ৫০ রান করা আইয়ারকে। উদ্বোধনী জুটি ভাঙতেই তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে যায় কলকাতার ব্যাটিং। একে একে ফিরতে থাকে নিথিশ রানা, সুনীল নারাইন, দিনেশ কার্তিক, এবং সাকিব আল হাসান। এদের কেউই দুই অংকের ঘরে যেতে পারেনি। মাঝখানে শুভমান গিল ফিরলে সবচাইতে বড় ধাক্কা খায় কলকাতা। তবে এই ওপেনার ফিরেন হাফ সেঞ্চুরি করে। ৪৩ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করেন গিল। আগের ম্যাচে ছক্কা মেরে দলকে জয় এনে দেওয়া রাহুল ত্রিপাটি ফিরলে কলকাতার সব আশা শেষ হয়ে যায়। এরপর মরগ্যান ফিরলে চেষ্টা ছিল কেবল পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর। দলের দুই ওপেনারের পরের ছয়জন ব্যাটসম্যান ফিরেছেন দুই অংকে যাওয়ার আগে। শেষ দিকে মাভি এবং ফার্গুসন ঝড় তোলে ব্যাবধানটাই কেবল কমিয়েছে। তাতে হার থেকে বাঁচতে পারেনি। মাভি ফিরেছেন ১৩ বলে ২০ রান করে। ১০ বলে ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ফার্গুসন। আর কলকাতা থামে ১৬৫ রানে। ৩টি উইকেট নিয়েছেন শার্দুল ঠাকুর। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন হ্যাজেলউড এবং জাদেজা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআফগানিস্তানে আবার রক্তাক্ত মসজিদ
পরবর্তী নিবন্ধশুধু এক্সরে সেবাতেই বছরে আয় আড়াই কোটি টাকা