আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন আগামী ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের সম্মেলনে থাকবেন ৭ হাজার কাউন্সিলর এবং ১ লাখ ডেলিগেট। এর মধ্যে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণের তিন সাংগঠনিক ইউনিট থেকে ১ হাজার ১০১ জন কাউন্সিলর ও ডেলিগেট যোগ দেবেন। এই তিন ইউনিটের নেতারা ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী ২৩ ডিসেম্বর ঢাকায় যাচ্ছেন তারা। তিন জেলার আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জানান, এর বাইরে আরো প্রায় ৫ হাজার নেতা-কর্মী নিজ উদ্যোগ সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকায় যাচ্ছেন। সম্মেলনে যোগ দিতে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা থেকে ট্রেনের বগি ভাড়া করা হয়েছে। ট্রেন ছাড়াও বাস ও প্রাইভেট গাড়িতে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় যাবেন।
সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের নেতৃত্বেও বেশ কিছু নেতাকর্মী সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক আজাদীকে বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে ১২৯ জন কাউন্সিলর ও ২৫৮ জন ডেলিগেট আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে যোগ দেবেন। এছাড়া বেশ কিছু নেতা-কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে ঢাকায় যাবেন। আমরা ২৩ তারিখ মহানগর গোধূলী ও সোনার বাংলা ট্রেনে এবং রাতে তূর্ণা নিশীথায় ঢাকায় যাত্রা করব। ট্রেনে আমরা ৫শ জন যাব। অনেকে বাসেও যাবেন। আমরা কমলাপুর এলাকায় হোটেলে থাকব।
তিন ইউনিটের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং থানার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণ ডেলিগেট হিসেবে যাবেন। মহানগর আওয়ামী লীগ এবং থানার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণ কাউন্সিলর হিসেবে যোগ দেবেন। এর বাইরে আরো দুই হাজারের ওপরে নেতাকর্মী সম্মেলনে যোগ দেবেন।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান আজাদীকে বলেন, জাতীয় কাউন্সিলে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ থেকে ১১৯ জন কাউন্সিলর ও ২৩৮ জন ডেলিগেট ঢাকায় যাবেন। আমাদের নেতা-কর্মীরা ট্রেনে করে ঢাকায় যাবেন। অনেকে বাসে এবং নিজের প্রাইভেট গাড়িতে করে সম্মেলনে যোগ দেবেন।
কাউন্সিলর ও ডেলিগেট ছাড়াও দুই হাজার নেতা-কর্মী বিভিন্নভাবে ঢাকায় যাবেন। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ থেকে ১১৯ জন কাউন্সিলর ও ২৩৮ জন ডেলিগেট ঢাকায় যাবেন বলে শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন। উত্তর জেলার নেতারাও ট্রেনে করে ঢাকায় যাবেন। কাউন্সিলর ও ডেলিগেট ছাড়াও এক থেকে দুই হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনে যোগ দেবেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারও সভাপতি হচ্ছেন, তা অনেকটা নিশ্চিত। সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে পারে নতুন মুখ। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কারা আসছেন তা নিয়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতি ও ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। ব্যয় কমানোর জন্য এবার আয়োজন একদিনে করা হয়েছে।
