চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ১৬ ট্রেনের যাত্রা বাতিল

চালক-গার্ডদের বিক্ষোভ, ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ না করায় সিডিউল বিপর্যয়ের শঙ্কা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৭ জানুয়ারি, ২০২২ at ৭:৪৫ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ১৬টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। দাবি আদায়ের লক্ষে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করছেন না ট্রেনের চালক ও গার্ডরা। চালক ও গার্ড সংকটের কারণে রেল কর্তৃপক্ষ ট্রেনের যাত্রা বাতিলের এই সিদ্ধান্ত নেয়। এখন ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ না করলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ট্রেন চলাচলে সিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন রেলওয়ের পরিবহন ও মেকানিক্যাল বিভাগ। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ডিএমই লোকো) মো. ওয়াহিদুর রহমান ট্রেনের যাত্রা বাতিলের আদেশটি ২৫ জানুয়ারি রাতে সিআরবির কন্ট্রোলার অফিসে পাঠান।

জানা যায়, ঢাকায় আপডাউন ১০টি ও চট্টগ্রামে আপডাউন ৬টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। ট্রেন চালক (লোকমাস্টার) ও গার্ডরা স্বাভাবিক ভাবে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টাও ডিউটি করেন। এখন দাবি আদায়ের জন্য ৮ ঘণ্টার বেশি করছেন না তারা। এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী আজাদীকে জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রুটে চলাচলকারী তিন জোড়া শাটল ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। আপাতত আর কোনো ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়নি। এলএমরা (লোকমাস্টার) এখন ৮ ঘণ্টার বেশি ট্রেন চালাচ্ছেন না। ৮ ঘণ্টার বেশি ট্রেন না চালালে স্বাভাবিকভাবে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হবে। রেলের রানিং স্টাফরা (লোকমাস্টার, গার্ড ও টিটিই) তাদের মাইলেজ জটিলতা নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছেন। নিজেদের দাবি আদায়ে প্রতিদিনিই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ। ৩০ জানুয়ারি মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বাতিল না করলে ৩১ জানুয়ারি থেকে ট্রেন না চালানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন রানিং স্টাফরা। যাত্রা বাতিলকৃত ট্রেনগুলো হলো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জোড়া (৬টি ট্রেন) শাটল ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। ট্রেন গুলো হলো১৩১/১৩২, ১৩৫/১৩৮, ১৪১/১৪২। এদিকে ঢাকা বিভাগের ১০টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। ট্রেন গুলো হলোলালমনিরহাটসান্তাহারলালমনিরহাট ২০/১৯, ঢাকানারায়ণগঞ্জঢাকা (সকাল) ২১৩/২১৪, ঢাকানারায়ণগঞ্জঢাকা (দুপুর) ২১৯/২২০, ঢাকানারায়ণগঞ্জঢাকা (বিকেল) ২২৯/২৩০, ঢাকানারায়ণগঞ্জঢাকা (রাত) ২৩৩/২৩৪। জানা গেছে, চট্টগাম থেকে চবি রুটে এর আগে সাত জোড়া ট্রেন চলাচল করতো। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে ৩ জোড়া শাটল ট্রেন, চালু থাকবে চার জোড়া শাটল। তবে চবি শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে চালু রাখা হয়েছে চার জোড়া শাটল ট্রেন। যা সকাল, দুপুর ও রাতে চট্টগ্রামচবি রুটে চলাচল করছে। চালক ও গার্ডদের সংকট কেটে গেলে আবার চালু হবে এই তিন জোড়া শাটল ট্রেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅর্থপাচারে সন্দেহভাজন ৬৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তালিকা হাইকোর্টে
পরবর্তী নিবন্ধদেশে ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে