চট্টগ্রামে করোনার ছোবলে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫ জনই নগরীর বাসিন্দা। এ নিয়ে গত ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ১৫ দিনে মোট ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, করোনাভাইরাসে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ ৯ জন মারা যান ১০ এপ্রিল। এছাড়া করোনাকালে সর্বোচ্চ ৫৪১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১১ এপ্রিল। মৃত্যু ও শনাক্তের দুটি রেকর্ডই এ মাসের। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি করোনায় চট্টগ্রামে নতুন শনাক্ত হয়েছে ২৯৩ জন। ১ হাজার ১৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় এ ২৯৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষাকৃত নমুনায় ২৫.৭৪ শতাংশের পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে এদিন। নতুন শনাক্ত ২৯৩ জনসহ চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমিত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িযেছে ৪৭ হাজার ২২৭ জনে। এর মধ্যে মহানগরীর বাসিন্দা ৩৭ হাজার ৯২৫ জন ও জেলার ৯ হাজার ৩০২ জন। আক্রান্তদের মাঝে এ পর্যন্ত ৪৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে মহানগরীর ৩৪৩ জন ও জেলার ১২১ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১৩৮টিসহ এ পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৬৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে ৪৭ হাজার ২২৭ জনের। হিসেবে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের গড় হার ১২.২০ শতাংশ। নতুন ৭৮ জনসহ এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৩৮৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪ হাজার ৮২৩ জন। অন্যদিকে বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩০ হাজার ৪৯৫ জন। হিসেবে আক্রান্তদের ৭৫ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত ২৯৩ জনের মধ্যে ২৪৯ জন নগরী ও ৪৪ জন জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে একজন রোগীও নেই। তবে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ৩৬৪ জন রোগী।
সিভিল সার্জন জানায়, এখন পর্যন্ত বয়সভিত্তিক হিসেবে দশ বছরের কম বয়সী শিশুরাই করোনায় সবচেয়ে কম আক্রান্ত হচ্ছে। আর ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। দশ বছরের কম বয়সীরা ২.৫২ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সীরা ৬.৯৭ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা ১৯.৬৮ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা ২৩.৫৬ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা ১৮.৫২ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা ১৫.২৪ শতাংশ ও ষাটোর্ধ্ব বয়সীরা ১৩.৪৯ শতাংশ হারে আক্রান্ত হচ্ছেন। চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান আজাদীকে গতকাল সোমবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
