চট্টগ্রামের চার বেসরকারি ল্যাবে হবে অ্যান্টিজেন টেস্ট

ফি ৭শ টাকা, ফল ৩০ মিনিটে

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৯ জুলাই, ২০২১ at ৬:২৬ পূর্বাহ্ণ

করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্তে দেশের ৭৮টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমতি দিয়েছে সরকার। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানকে অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমতি দানের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের চারটি প্রতিষ্ঠান এ অনুমতি পেয়েছে। চট্টগ্রামে অনুমতি পাওয়া চার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি (প্রা.) লিমিটেড, সিএসসিআর (প্রা.) লিমিটেড, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল এবং ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক ও কনসালটেশন সেন্টার। অ্যান্টিজেন টেস্ট ফি হিসেবে ৭০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপনে। অবশ্য বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা নিতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে একই পরিবারের একাধিক সদস্যের নমুনা নেওয়া হলে সেক্ষেত্রেও অতিরিক্ত চার্জ ৫০০ টাকাই নিতে হবে। অর্থাৎ বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চার্জ ৫০০ টাকার বেশি হবে না। উল্লেখ্য, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ৩০ মিনিটের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যায়।
আগেই আরটিপিসিআর ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষার অনুমতি পায় সেভরণ ক্লিনিক্যাল প্রা. লিমিটেড। এখন অ্যান্টিজেন টেস্টেরও অনুমতি পেয়েছে এ প্রতিষ্ঠান। অনুমোদন পাওয়ায় আরটিপিসিআর ল্যাবের পাশাপাশি আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে অ্যান্টিজেন টেস্টও শুরু করার কথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার (জিএস) পুলক পাড়িয়াল। তিনি বলেন, আমাদের হালিশহর শাখায় আগে থেকেই আরটিপিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। মঙ্গলবার থেকে ওখানেই অ্যান্টিজেন টেস্টের কার্যক্রম শুরু করব। সরকারি নির্ধারিত ফি ৭০০ টাকা নিয়েই অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে বলে জানান তিনি।
মানতে হবে যেসব শর্ত : স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কোভিড-১৯ এর উপসর্গ/লক্ষণযুক্ত (সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, নাকে ঘ্রাণ না পাওয়া, মুখে স্বাদ না পাওয়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি) ব্যক্তি এবং আগের ১৪ দিনের মধ্যে কোভিড পজিটিভ রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির ক্ষেত্রে অ্যান্টিজেন টেস্ট প্রযোজ্য হবে।
অধিদফতর বলছে, অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের (উঐওঝ -২) সার্ভারে এন্ট্রি দিতে হবে। লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এলে রিপোর্ট না দিয়ে আরটি-পিসিআর ল্যাব থেকে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে তার সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে ওই রিপোর্ট উঐওঝ-২-এ এন্ট্রি দিতে হবে।
অধিদফতর আরও বলছে, অ্যান্টিজেন টেস্টের ক্ষেত্রে সরকার অনুমোদিত ঝঃধহফধৎফ ছ ঈঙঠওউ-১৯ অম ঞবংঃ শরঃং- ঝউ ইওঙঝঊঘঝঙজ (ঝড়ঁঃয কড়ৎবধ) ও চঅঘইওঙ (টঝঅ) ব্যবহার করা যাবে। রিপোটিংয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস শাখা থেকে আইডি, পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে হবে। সব বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থানীয় সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান প্রধানের (পরিচালক/সিভিল সার্জন/ইউএইচএফপিও) সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সরকারি হাসপাতাল, ল্যাব ও নমুনা সংগ্রহের বুথগুলোতে আগে থেকেই অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু রয়েছে। একশ টাকায় অ্যান্টিজেন টেস্টের সুযোগ রয়েছে সরকারি এসব প্রতিষ্ঠানে। ৩০ মিনিটের মধ্যেই এই টেস্টের রিপোর্ট পাওয়া যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপশু জবাইয়ে চসিকের ৩০৪ স্থান নির্ধারণ
পরবর্তী নিবন্ধএবার ইলিশ উৎপাদন ৬ লাখ টন ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা