ঘুমের উপর অনলাইন আসক্তির নেতিবাচক প্রভাব

আজিজুল হক | মঙ্গলবার , ৭ জুন, ২০২২ at ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

একজন মানুষের গড়ে দৈনিক ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে না পারলে আমাদের লিভিং অর্গানাইজেশনগুলো ভালো ভাবে কাজ করতে পারে না। যার বদৌলতে আমাদের শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ঘুম না আসার অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হলো অনলাইন আসক্তি। অনলাইন আসক্তি কারণে আমরা সঠিক সময়ে ঘুমাতে পারছি না। রাত ১০ থেকে ১১ মধ্যে ঘুমায়ে যাওয়ার জন্য ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অনলাইন আসক্তির জন্য রাত ২ থেকে ৩ টার সময়ও আমাদের ঘুম আসছে না। ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন ২০১১ সালে ঘুমের আগে ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবহারের উপর পোল সমীক্ষা চালাই যেখানে দেখা গেছে ১০ জনের মধ্যে ৪ জনই ঘুমের আগে সাথে সেলফোন নিয়ে ঘুমাচ্ছিলো এবং ১০ জনের মধ্যে ৬ জনই বিছানায় যাওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ ব্যবহার করছ।

বিশেষ করে যাদের বয়স ১৩ থেকে ২৯ এর মধ্যে। বর্তমানে এর সংখ্যা সমান সমান হবে বলে ধারণা করা যায়। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর জন্য অবশ্যই আমাদের অনলাইন আসক্তি কমাতে হবে। অনলাইন আসক্তি কমানোর জন্য আমার যা যা করতে পারি তা হলো: সময় নির্ধারণ করে আমরা অনলাইনে বিচরণ করা, খেলাধুলায় মনোনিবেশ করতে হবে। দৈনন্দিন রুটিন পরিবর্তন করতে হবে। অনলাইন ব্যবহারের সময়টা যেন ঘুমের সময় নষ্ট না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা হোক
পরবর্তী নিবন্ধপ্রাণেশ