গ্লুকোমা চোখের নীরব ঘাতক, দৃষ্টিনাশী রোগ

বিশ্ব গ্লুুকোমা সপ্তাহের উদ্বোধনকালে ডা. রবিউল হোসেন

| মঙ্গলবার , ৮ মার্চ, ২০২২ at ৭:২৪ পূর্বাহ্ণ

‘বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ-২০২২’ উদযাপন করছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। গতকাল সোমবার সকালে পাহাড়তলীতে অবস্থিত হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি ও র‌্যালীর উদ্বোধন করেন হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন। এ সময় গ্লুকোমা চোখের নীরব ঘাতক উল্লেখ করে তিনি বলেন, মারাত্মক দৃষ্টিনাশী রোগ গ্লুকোমা, যা অন্ধত্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কারণ। এ রোগের তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না। একবার দৃষ্টিসীমা কিছুটা নষ্ট হলে সেটুকু আর ফিরে পাওয়া যায় না। নীরবে চোখকে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যায় বলে গ্লুকোমাকে নীরব ঘাতক বা ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলা হয়। ডা. রবিউল হোসেন আরও বলেন, গ্লুকোমা রোগে দৃষ্টির যে ক্ষতি হয়, তা কখনো ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না পেলে রোগী অন্ধ হয়ে যেতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা চালিয়ে গেলে অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। গ্লুুুকোমা রোগ সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। চল্লিশোর্ধ্বদের উচিত চোখের যে কোনো উপসর্গের সুচিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। তিনি গ্লুুকোমার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরও ভূমিকা পালনের আহবান জানান।
র‌্যালীতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. কামরুল ইসলাম, আইসিও এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান ওসমানী, এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. জেসমিন আহমেদ, কনসালটেন্ট ডা. সুজিত কুমার বিশ্বাস, এসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা. তনিমা রায়, ডা. সাজ্জাদ হোসেন খান, ডা. কাজী তাহমিনা আক্তারসহ চিকিৎসক ও অপটোমেট্টির শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এর আগে মরান সেমিনার হলে চোখের গ্লুকোমা নির্ণয় ও প্রতিরোধের বিষয়ক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসপাতালের এসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা. উম্মে সালমা আকবর। বক্তব্য রাখেন অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ চট্টগ্রামের প্রতিনিধি ডা. এম এ করিম, ডা. মান্নান সিকদার, ডা. মর্তুজা নুরুদ্দীন, ডা. ওয়াহিদ আলম, প্রফেসর প্রকাশ কুমার চৌধুরী, ডা. উৎপল সেন প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ‘অনিয়ম’
পরবর্তী নিবন্ধবয়স্ক ভাতা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা