গ্রাহাম গ্রিন: ঔপন্যাসিক ও সাহিত্য সমালোচক

| রবিবার , ৩ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ

প্রখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক গ্রাহাম গ্রিন। ব্যাপক জনপ্রিয়তার সঙ্গে সাহিত্যিকের স্বীকৃতি তাকে ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে দেয়। আধুনিক বিশ্বের নৈতিক এবং রাজনৈতিক বিষয়গুলোর সাদৃশ্য ও বৈপরীত্বের প্রতিচ্ছবি তার রচনায় ফুটে ওঠে। গ্রাহাম গ্রিন ১৯০৪ সালের ২ অক্টোবর ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা চার্লস হেনরি গ্রিন এবং মাতা মেরিওন রেমন গ্রিন। ছোট বেলায় মানসিক ব্যাধি বাইপোলার ডিজঅর্ডারেও ভুগেছেন তিনি যার প্রভাব তার লেখায় বেশ স্পষ্ট। স্কুলে থাকতেই বেশ কবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি। ইতিহাসে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর গ্রিন সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। দি টাইমস পত্রিকায় তিনি সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ১৯২২ সালে গ্রিন ব্রিটেনের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হিসেবে সাময়িকভাবে সম্পৃক্ত হন। বিশ্বখ্যাত কবি-সাহিত্যিক কিংবা বড়লেখক হয়েও গুপ্তচরের ভুবনে বিচরণ করেছেন অনেকেই। গ্রাহাম গ্রিনও গুপ্তরচরবৃত্তির সাথে যুক্ত ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে গ্রিন লেখক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এমআই-৬ তাকে রিক্রুট করে। অতঃপর গ্রিনকে সিয়েরালিওনে পাঠানো হয়। সেখানে গুপ্তরচরবৃত্তির ফাঁকে তিনি মিনিস্ট্রি আর কিয়ার এবং দ্যা হার্ট অব দ্যা ম্যাস্টার নামে দু’টি গ্রন্থ লেখেন। দ্য কনফিডেনশিয়াল এজেন্ট, দ্য থার্ড ম্যান, দ্য হিউম্যান ফ্যাক্টর, আওয়ার ম্যান ইন হাভানা, দ্য কোয়াইট আমেরিকান প্রভৃতি রচনায় তিনি আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং গুপ্তচরবৃত্তির বিষয়গুলো ফুটিয়ে তুলেছেন। গ্রাহাম গ্রিন তার বন্ধু কিম ফিলবির আত্মজীবনী মাই সাইলেন্ট ওয়ার-এর মুখবন্ধে লিখেছিলেন, আমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে দেশের চেয়ে বড় কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। পরে এমআই-৫ এর পক্ষ থেকে এমআই-৬ কে বলা হয়, আওয়ার ম্যান ইন হ্যাভানা বইটির মধ্যে কিছু গোপন তথ্য ফাঁস করার দায়ে গ্রাহাম গ্রিনের বিচার হওয়া উচিত। ১৯৮১ সালে তিনি জেরুজালেম পুরস্কারে ভূষিত হন গ্রাহাম গ্রিন। সুখ্যাতিমান লেখক হিসেবে যশ কুড়ানে গ্রাহাম গ্রিন ১৯৯১ সালের ৩ এপ্রিল সুইজারল্যান্ডের ভেভেতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধসড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কর্তৃপক্ষের সচেষ্ট হওয়া জরুরি