গোটা ইউক্রেন, আরও বেশি কিছু চান পুতিন

মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন

| সোমবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে আলোচনা চললেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যুদ্ধের লক্ষ্য এখনও একই আছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট ৬ সূত্র বলেছে, পুতিন এখনও গোটা ইউক্রেন দখল করা এবং সাবেক সোভিয়েত সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এমন কিছু ইউরোপীয় ভূখণ্ড পুনর্দখলের লক্ষ্য ছাড়েননি। এসব গোয়েন্দা প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার শান্তি আলোচকদের বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ট্রাম্প ও তার প্রতিনিধিরা দাবি করে আসছেন, পুতিন সংঘাতের অবসান চান। খবর বিডিনিউজের।

সর্বশেষ গোয়েন্দা প্রতিবেদন গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে তৈরি করা হয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। প্রতিবেদনে পুতিন ইউরোপের জন্য নিজেকে হুমকি বলতে অস্বীকৃতি জানালে সেটিও খণ্ডন করা হয়।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা মূল্যায়ন ধারাবাহিকভাবে একই রকম রয়েছে। ইউরোপীয় নেতারা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দৃষ্টিকোণের সঙ্গে তা মিলে যায়। তাদের মতে, পুতিন গোটা ইউক্রেনসহ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলোর ভূখণ্ড, এমনকি নেটোভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর অংশও দখল করতে চান। হাউজ গোয়েন্দা কমিটির ডেমোক্র্যাটিক সদস্য মাইক কুইগলি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যে বরাবরই বলা হয়ে আসছে যে, পুতিন আরও বেশি চান। ইউরোপীয়রা এ বিষয়ে নিশ্চিত। পোল্যান্ড পুরোপুরিই নিশ্চিত। বাল্টিক দেশগুলো মনে করে, তারাই প্রথম লক্ষ্য।

বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে। এর মধ্যে রয়েছে, ডনবাসের লুহানস্ক ও দোনেৎস্কের বড় অংশ, জাপোরিঝিয়া ও খেরসনের কিছু এলাকা এবং ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ।

পুতিন ক্রাইমিয়া ও এই চার প্রদেশকে রাশিয়ার অংশ বলে দাবি করে আসছেন। দুই সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ট্রাম্প কিয়েভের ওপর দোনেৎস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা ছোট ছোট এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছেন। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ অধিকাংশ ইউক্রেইনীয় নাগরিক এই দাবি মেনে নেয়নি।

হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধ অবসানে প্রেসিডেন্টের আলোচক দল উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে এবং শান্তিচুক্তি আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে কাছে। তবে তিনি গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইসলাম শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ
পরবর্তী নিবন্ধকৃষি জমির টপসয়েল যাচ্ছে ইটভাটায়, লাখ টাকা জরিমানা