গুলিবিদ্ধ হওয়ার ১৩ বছর পর পাকিস্তানে দাদাবাড়িতে মালালা

| রবিবার , ৯ মার্চ, ২০২৫ at ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ

তালেবানের গুলিতে মারাত্মক আহত হওয়ার প্রায় ১৩ বছর পর পাকিস্তানে তার দাদাবাড়ি শাংলা ঘুরে গেলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। ২৭ বছর বয়সী তরুণী শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিজেই ইনস্টাগ্রামে বেশ কয়েকটি ছবি দিয়ে খবর দিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।

মালালার ছবিগুলোতে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলের অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্যও দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।

ছবির সঙ্গে মালালা লিখেছেন, ১৫ বছর বয়সে গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রথম দাদাবাড়িতে ফিরলাম। ছোটবেলায় আমি প্রতিটি ছুটি পাকিস্তানের এখানে শাংলায় কাটাতাম, নদীর ধারে খেলাধুলা করতাম এবং আমার বৃহৎ পরিবারের সাথে খাবার ভাগাভাগি করে খেতাম।

১৩ বছরের দীর্ঘ বিরতির পর সেখানে ফিরেপাহাড়ের মাঝে নিজেকে দেখে, শীতল নদীতে হাত ডুবিয়ে ও প্রিয় কাজিনদের সাথে হাসতে পেরে আমি এক অবর্ণনীয় আনন্দ অনুভব করছি। এই জায়গা আমার হৃদয়ের খুব কাছের এবং এখানে বারবার ফিরে আসতে পারবো বলে আশা করছি, লিখেছেন তিনি। ২০১২ সালের অক্টোবরে তালেবান সদস্যরা মালালার মাথায় গুলি করেছিল, সেসময় স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পাকিস্তান থেকে আকাশপথে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে জটিল অস্ত্রোপচারের পর প্রাণে বাঁচেন তিনি। সে সময় কিশোরী মালালা ও তার পরিবারের সদস্যরা পরে ব্রিটেনেই স্থায়ী হন।

সেখানেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শেষ করার পর তিনি বিশ্বজুড়ে নারী এবং মেয়েদের শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ শুরু করেন। মালালা যেখানে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, শাংলা থেকে তার দূরত্ব খুবই কম। পুলিশের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, মালালার তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে শাংলায় যান। তিনি হেলিকপ্টারে করে স্বল্প সময়ের সফরে শাংলার শাহপুরে এসেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার বাবা, স্বামী ও ভাই। তিনি সেখানে তার নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করেন। পরে শাংলা গার্লস স্কুল ও কলেজেও যান, যে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছে মালালা ফান্ডের সহযোগিতায়। কলেজে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমোশাররফ করিম ‘চক্কর’ দেখাবেন ঈদে
পরবর্তী নিবন্ধসিরিয়ার আলাউইত অঞ্চলে দমনাভিযানে নারী ও শিশুসহ নিহত ৩৪০