গুন্টার গ্রাস : সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী

| বৃহস্পতিবার , ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

গুন্টার গ্রাস(১৯২৭২০১৫)। পুরো নাম গুন্টার ভিলহেম গ্রাস। গুন্টার গ্রাসের প্রতিভা ছিল বহুমুখী। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন ঔপন্যাসিক, কবি, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, ভাস্কর, গ্রাফিঙ ডিজাইনার। ‘টিনড্রাম’উপন্যাসের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ১৯২৭ সালের ১৬ অক্টোবর জার্মানির ডানজিগে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা উইলহেম গ্রাস ছিলেন প্রোটেস্ট্যান্ট এথনিক জার্মান, অন্যদিকে মা হেলেন গ্রাস ছিলেন কাশুবিয়ানপোলিশ বংশোদ্ভূত রোমান ক্যাথলিক। তিনি শৈশবে কিছুকাল গির্জায় ‘বেদীসহকারী’ হিসেবে কাজ করেছেন। কৈাশোরের লেখাপড়া শেষ করে ১৯৪৩ সালে তিনি ১৬ বছর বয়সে বিমান বাহিনীর একটি সহযোগী সংস্থায় যোগদান করেন। ১৯৪৪ সালের নভেম্বরে তিনি সাবমেরিন সার্ভিসে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ নেন, উদ্দেশ্য ‘কঠোর ক্যাথলিক মধ্যবিত্ত শ্রেণীর যুপকাষ্ঠ থেকে মুক্তি লাভ করা।’ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে নেভিতে না নিয়ে ‘দশম প্যানজার ডিভিশন ফ্রুন্ডজবার্গ’এ তালিকাভুক্ত করা হয়।

এই বাহিনীতে তিনি ১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত কাজ করেন। তিনি আহত অবস্থায় মিত্রবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এবং যুদ্ধবন্দী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। তার পরিবার শরণার্থীতে পরিণত হয়। একজন স্টোনম্যাসন এবং ভাস্কর হিসাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তির পর, তিনি ১৯৫০এর দশকে লেখালেখি শুরু করেন। গ্রাস তার প্রথম উপন্যাস দ্য টিন ড্রাম (১৯৫৯)-এর জন্য পরিচিত হয়, যা একটি ইউরোপীয় জাদু বাস্তবতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখনী এবং দানজিগ ত্রয়ীর প্রথম অংশ যাতে ক্যাট এ্যন্ড মাউস, ও ডগ ইয়ার্স অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। তার লেখা সবসময় বামপন্থী রাজনৈতিক লেখা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে এবং তিনি সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ জার্মানির একজন সক্রিয় সমর্থনকারী।

দ্য টিন ড্রাম উপন্যাসটি নিয়ে একই নামের চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে যা ১৯৭৯ সালে পাম ডি’অর এবং সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্রের জন্য একাডেমি পুরস্কার অর্জন করে। ১৯৯৯ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। জার্মানির নোবেলজয়ী কথাসাহিত্যিক গুন্টার গ্রাসের বাঙালি ও বাংলাদেশ প্রেম ছিলো। আর তাই ১৯৮৬ সালে গুন্টার গ্রাস বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। ঘুরেছিলেন এ দেশের আনাচে কানাচে। পরে সেই অভিজ্ঞতা তিনি লিখেছেন নিজের ভ্রমণপঞ্জিতে। গ্রাস ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধবৈশাখের আনন্দ জোয়ার