ফটিকছড়ির পাইন্দং ও নাজিরহাটে গুঁড়িয়ে দেয়া ইটভাটায় ড্রাম চিমনি দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর, র্যাব, পুলিশ যৌথ অভিযানে পাইন্দং ফকিরা চাঁন এলাকায় গ্রামীণ ব্রিকস, নাজিরহাট পৌরসভায় হালদা ব্রিকস এবং সুয়াবিলে জেএন ব্রিকস গুঁড়িয়ে দেয়। কিন্তু অভিযানের পর দিন থেকেই হালদা ব্রিকস ও গ্রামীণ ব্রিকস টিনের তৈরি ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে পুনরায় ইট পোড়ানো শুরু করে। এদিকে গত বুধবার আবার যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াছমিন। তিনি পাইন্দং এসএন্ডবি ব্রিকস ও একতা ব্রিকস গুঁড়িয়ে দেয়ার পর নাজিরহাটস্থ হালদা ব্রিকসটির ড্রাম চিমনি আবার গুঁড়িয়ে দেন। কিন্তু বহাল তবিয়তে ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে ইট পোড়াচ্ছে পাইন্দং গ্রামীণ ব্রিকস। অপরদিকে গত ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর পাইন্দং, নাজিরহাট, সুয়াবিল, ধর্মপুর, নানুপুর, খিরাম এলাকায় যৌথ বাহিনীর ফুটো করে দেয়া ইটভাটাগুলো পুনরায় চালুর খবর পাওয়া গেছে।
প্রশাসন গুঁড়িয়ে দেয়ার পরও কেন নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে ইট পোড়ানো হচ্ছে জানতে চাইলে গ্রামীণ ব্রিকসের মালিক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, বেশ কিছু কাঁচা ইট রয়েছে। তাই এগুলো ড্রাম চিমনি দিয়ে পুঁড়িয়ে নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সায়েদুল আরেফিন বলেন, গুঁড়িয়ে দেয়া ইটভাটায় ড্রাম চিমনি ব্যবহারের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আবার অভিযান পরিচালনা করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
