গাজায় ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

| রবিবার , ২৪ মার্চ, ২০২৪ at ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডব যেন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে সেখানে ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সৈন্যরা, যার মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। এর আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু রাশিয়া ও চীনের ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি পাস হয়নি।

গাজার হামাসনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৩২ হাজার ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৪ হাজার ২৯৮ জন। গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তোলা প্রস্তাবের পক্ষে ১১ দেশ এবং বিপক্ষে তিন দেশ ভোট দিয়েছে।

আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে একটি সদস্য দেশ। ওয়াশিংটনের দ্বিমুখী নীতি ইসরায়েলের ওপর কোনো চাপ তৈরি করছে না বলে অভিযোগ করেছে মস্কো। জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, খসড়াটি অত্যন্ত রাজনীতিকরণ করা হয়েছে ও এতে রাফায় সামরিক অভিযান চালানোর জন্য কার্যকর সবুজ সংকেত রয়েছে। কাতারে ফের যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আমরা দ্রুতই চুক্তিতে পৌঁছাবো। তবে এখনো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ব্যাপারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।

তবে তার এই সফর থেকে কোনো কিছুই অর্জিত হয়নি। এদিকে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জোরদার করতে শনিবার গাজার সীমান্ত শহর রাফাহ পরিদর্শন করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এর আগে শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে আলআকসা মসজিদে প্রবেশে মুসল্লিদের বাধা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মুসলমানদের পবিত্রস্থান আলআকসার কালান্দিয়া, জেইতুন ও বেথলেহেম চেকপয়েন্টে সামরিক তৎপড়তা জোরদার করেছে ইসরায়েল। আলআকসায় প্রবেশের অনুমোদন তাদের কাছে নেই দাবি করে শত শত মুসলিমদের ফিরিয়ে দেয় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। মসজিদের চারপাশে শত শত সেনা মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। রমজান মাসেও আলআকসায় প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দখলদার বাহিনী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার চাঁদে ‘রেল রোড তৈরির’ ধারণায় সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের
পরবর্তী নিবন্ধগাজার আল শিফা হাসপাতালের পরিস্থিতি নরকের চেয়েও ভয়াবহ