খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে আগামী বছর জুনে

কক্সবাজারে সেনাপ্রধান

কক্সবাজার প্রতিনিধি | রবিবার , ৮ মে, ২০২২ at ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ

খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ আগামী বছর জুনের মধ্যে শেষ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। কক্সবাজারে বাস্তবায়নাধীন জলবায়ু উদ্বাস্তুদের বিশেষায়িত আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে গতকাল তিনি এ কথা বলেন।
কক্সবাজার শহর সংলগ্ন বাঁকখালী নদীর ওপারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত হচ্ছে এই বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এ প্রকল্প পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তিনি সরেজমিনে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে তার অধস্তনদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

এ সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম, মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন, মেজর জেনারেল মো. মোশফেকুর রহমান ও রামুস্থ ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে সেনাপ্রধান সাংবাদিকদের বলেন, খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্প। জলবায়ু উদ্বাস্তু ও বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কারণে ভূমিহীন ৩ হাজার ৮ পরিবারকে এখানে পুনর্বাসন করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। এছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় ধর্মীয় উপাসনালয়, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, খেলার মাঠ এবং পানি সরবরাহের ব্যবস্থাসহ বিবিধ সুবিধাদির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। আগামী বছর জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ।

উল্লেখ্য, বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কারণে শহরের সমিতি পাড়া ও কুতুবদিয়া পাড়া এলাকায় আশ্রয় নেয়া জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৩৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। যেখানে স্থায়ী মাথা গোজার ঠাঁই পাবে ৩ হাজার ৮শ ৮টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার। এ প্রকল্পে থাকছে ১৩৯টি পাঁচতলা ভবন, যার মধ্যে তৈরি হওয়া ২০টি ভবনে ৬০০ পরিবারকে একটি করে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে ২০২০ সালে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশূন্য কোটায় হজে যেতে ১০ মে’র মধ্যে আবেদন
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম কলেজ প্রাক্তন ছাত্রলীগ পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী