রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের পাহাড়েই ঘাঁটি গড়েছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পে অপহরণের ঘটনা ঘটে। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধারও করে। অপহৃতরা বেশির ভাগই উদ্ধার হচ্ছে ক্যাম্পের পাশের পাহাড় থেকে।
কক্সবাজার ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সূত্রে জানা যায়, টেকনাফের উনচিপ্রাং ২২নং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা ভলান্টিয়ার মো. আব্দুল্লাহকে(২৪) গতকাল সোমবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডি-২ ব্লকে পাহারা ডিউটি করাকালীন স্থানীয় শাহ আলমসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন দুষ্কৃতিকারী অপহরণ করেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে উনচিপ্রাং এপিবিএন ক্যাম্পের অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে কয়েকটি টীম গঠন করে সম্ভাব্য সকল স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের এক পর্যায়ে ভিকটিম আবদুল্লাহকে ডি ব্লক সংলগ্ন পাহাড় থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তিনি ক্যাম্প-২২ (উনচিপ্রাং) ব্লক-ডি/৪, ঘর-১৪৮ এর আলী জোহারের ছেলে।
একইভাবে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে টেকনাফের লেদা ২৪নং ক্যাম্পের এ-১৩ ব্লকের জামালের মুদি দোকানের সামনে হতে রোহিঙ্গা যুবক একরামকে(২২) ৪/৫ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী অস্ত্র দেখিয়ে জোরপূর্বক অপহরণ করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। লেদা এপিবিএন ক্যাম্প অপহরণকৃত রোহিঙ্গা শরণার্থীকে উদ্ধারের জন্য ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে আজ মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে পাহাড়ের পাদদেশ হতে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তিনি লেদা ক্যাম্পের নতুন ব্লকঃ এ-৫ মৃত বশরের ছেলে।
উদ্ধারকৃতদের ক্যাম্পের ব্লক মাঝির মাধ্যমে তাদের পরিবারের নিকট বুঝিয়ে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ দু’টি অপহরণ পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা ছিল ক্যাম্পের পাশের পাহাড়কে ঘিরে এবং সফলও হয় এপিবিএন সদস্যরা।
কক্সবাজার ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, “অপহরণকারী চক্র রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশের পাহাড়ে আস্তানা গেড়ে বসেছে। কোনো অপরাধ সংঘটিত করেই তারা সেখানে সটকে পড়ে।”
অপহরণকারীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযানসহ গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
