কূটনীতিকদের সুরক্ষা স্বাগতিক দেশকেই নিশ্চিত করতে হবে : যুক্তরাষ্ট্র

| বুধবার , ১৭ মে, ২০২৩ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে ছয়টি দেশের কূটনীতিকের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলছে, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী যেকোনো স্বাগতিক দেশকে সব কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের সুরক্ষা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এ কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, সৌদি আরবসহ ছয় দেশের মিশন প্রধানরা চলাচলের ক্ষেত্রে বাড়তি যে নিরাপত্তা সুবিধা (পুলিশ এসকর্ট) এতদিন পেয়ে আসছিলেন, তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, প্রতিটি দূতাবাসেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা বিধান অব্যাহত রেখেছেন এবং রাষ্ট্রদূতদের পুলিশ প্রদত্ত গানম্যান নিয়োজিত আছেন।

বাংলাদেশের এই পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র ঢাকায় দেশটির কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কিনা, এমন প্রশ্নে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ও এর কর্মীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলোর দিকে যাচ্ছি না। তবে, আমি উল্লেখ করতে চাই, সব স্বাগতিক দেশকে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী সব কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিতের বাধ্যবাধকতা অবশ্যই মানতে হবে এবং কর্মীদের উপর কোনো ধরনের আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের কূটনৈতিক কর্মী এবং স্থানসমূহের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়গুলো সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

বিদেশি কুটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কিছু ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য নজরে আসার কথা জানিয়ে সোমবার রাতেই এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়, প্রতিটি দূতাবাসেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা বিধান অব্যাহত রেখেছে এবং রাষ্ট্রদূতদের পুলিশের দেওয়া গানম্যানও নিয়োজিত রয়েছে। নিরাপত্তা প্রত্যাহার সম্পর্কিত এই ‘বিভ্রান্তিকর খবরটি সঠিক নয়’।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডের অটো স্টিলের পাঁচ ব্যবসায়ীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পরবর্তী নিবন্ধশেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ