কিছু মানুষের ক্ষতি করার প্রবৃত্তিটা প্রবল

রুমানা নাওয়ার | সোমবার , ৪ জুলাই, ২০২২ at ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ

কিছু মানুষ আছে দেখবেন শুধু ক্ষতি করতে থাকবে। সেটা সমাজের ক্ষতি রাষ্ট্রের ক্ষতি প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হোক বা পরিবারের ক্ষতি। এরা উৎকন্ঠিত থাকে কখন কিভাবে কোথায় কার ক্ষতি করতে পারবে – এ ভাবনায়। কারো ভালো সহ্য করতে না পারার মানসিকতা থেকে মূলত এ সবের সৃষ্টি। পদ্মা সেতুর কথা-ই ধরেন। বাংলাদেশের মানুষ মুখিয়ে ছিল এ সেতুর জন্য। একটা মাহেন্দ্রক্ষণ এর অপেক্ষায় পুরো দেশ পুরো জাতি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আর একটা সাফল্য গাথা যোগ হলো ২৫ এ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে। সারা দেশের মানুষ একযোগে এ মাহেন্দ্র ক্ষণের পর্দা উন্মোচনের দৃশ্য উপভোগ করেছে যার যার অবস্থানে থেকে। বাংলাদেশের জন্য এটা আরেকটা বড় পাওয়া। দু’পারের মানুষের মধ্যে একটা সেতুই রচনা করতে পারে অপার সম্ভাবনার দ্বার। সুফল ভোগ করবে সবাই। আর এর বিপরীতে দেখেন পদ্মা সেতুর নাট বল্টু খুলে টিকটক ভিডিও বানায় আহাম্মকের দল। বুঝাতে চায় হাত দিয়ে এসব নাট বল্টু খুলতে পারা যায় যেখানে সেখানে কিসের কী। মানুষের জীবন তো এখানে ঝুঁকির মুখে। এরা একটা দল যারা নাট বল্টু খুলবে, সমাজকে দেশকে বিপদের মুখে ফেলবে। মানুষ কে ভুল ভাল বুঝিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। এরা সবসময়ই বিপক্ষে অবস্থান করবে। কারণ এরা কখনো কারো ভালো চায় না।এরা জাতির শত্রু।এরা ট্রেনের সিট ব্লেড দিয়ে কাটে। চলন্ত ট্রেনে ঢিল ছুড়ে মারে। যত্রতত্র মল-মুত্র ত্যাগ করে। আমাদের অর্থায়নে আমাদের সেতু- পদ্মা সেতু। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বিরাট ভাগ্য পরিবর্তনের এ আনন্দ উদযাপন করতে ব্যস্ত সারা বাংলা। সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে আপামর জনসাধারণ। সেখানে কিছু বিকৃত মানুষের নাট বল্টু খোলার সেতুর উপরে মুত্র ত্যাগের দৃশ্য যেমন পীড়াদায়ক তেমনি ঐতিহাসিক সেতুর উপর সেজদারত সেনা সদস্যের ছবি সৌন্দর্যের দ্যুতি ছড়ায়। দুপারের মানুষের ৭/৮ ঘণ্টার যাত্রা ভোগান্তি কমিয়ে সাত আট মিনিটে নামিয়ে এনেছে এ সেতু। প্রতিদিন সেতু পার হওয়া মানুষের মুখের হাসিই বলে দিবে কী এক অর্জন আমাদের। বঙ্গবন্ধু কন্যার সাহসী উদ্যোগ এটি। আর জনগণের টাকায় নির্মিত জনগণের সেতু পদ্মা সেতু। প্রমত্তা পদ্মার বুকে নির্মিত পদ্মা সেতু সত্যিই ইতিহাসের বুকে এক মাইলফলক যুক্ত করলো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঘুরে এলাম রাঙামাটি
পরবর্তী নিবন্ধচাকরি নিয়ে হালকা চিন্তা