কাস্টমসের নিলাম কাজে গতি

গাড়ি-ফ্রেব্রিক্সসহ ১৪৫ লট পণ্যের নিলাম কাল

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২০ মার্চ, ২০২১ at ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টমসে গাড়ি-ফেব্রিক্সসহ বিভিন্ন ধরনের ১৪৫ লট পণ্য আগামীকাল নিলামে তোলা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে কাস্টমসের নিলাম কার্যক্রমে গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি মাসে দুইটি পর্যন্ত নিলামও অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিলাম কার্যক্রমের গতি বাড়লেও সর্বোচ্চ দরদাতার অনুকূলে পণ্য বিক্রি অনুমোদন বিলম্বের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারী)।
নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, ১৪৫ লট পণ্যের মধ্যে রয়েছে- জাপানি টয়োটা গাড়ি, ফেব্রিক্স, স্ক্র্যাপ, কেমিক্যাল, বিল্ডিং ম্যাটারিয়ালস, মেশিনারি, এলইডি মনিটর, এলইডি টিউবলাইট, স্টোন টাইলস, ফার্মাসিক্যাল ম্যাটেরিয়ালস, ক্যালেন্ডার ও ডায়েরি, ব্যাটারি, মোটর সাইকেল পার্টস, স্ট্যান্ড ও ওয়াল ফ্যান, কসমেটিকস, কম্প্রেসার, অ্যালুমিনিয়ামের দরজা জানালা, শিশুদের ব্যবহার সামগ্রী, লাঙল, মধু, জিপসাম পাউডার, পিভিসি ফ্লোর ম্যাট, বৈদ্যুতিক মিটার এবং জুতা ইত্যাদি।
নিলাম শাখার কর্মকর্তারা জানান, বিডাররা অফিস চলাকালীন চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখা এবং নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশনের মাঝিরঘাটের অফিস থেকে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনারে (সদর) কার্যালয় থেকেও মূল্য পরিশোধ করে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। আগামীকাল ২১ মার্চ বেলা ২টার মধ্যে জমা দেয়া যাবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তার (প্রশাসন) কার্যালয়ে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ও ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনারের (সদর) কার্যালয়ে। একইদিন বেলা আড়াইটায় বিডারদের উপস্থিতিতে দরপত্রের বাক্স খোলা হবে। নিলাম সম্পন্ন হওয়ার পর সর্বোচ্চ দরদাতাদের অনুকূলে পণ্য বিক্রির অনুমোদন দিবেন নিলাম কমিটির সদস্যরা।
এদিকে জানা গেছে, নিলামে অংশগ্রহণ করতে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দরপত্রের সাথে হালনাগাদ করা ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সনদ, টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। ব্যক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। এছাড়া ক্যাটালগে উল্লেখিত শর্ত পূরণ করে নিলামে অংশ নেয়া যাবে। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস উপ-কমিশনার ফয়সাল বিন রহমান দৈনিক আজাদীকে বলেন, নিলাম আমাদের রুটিন কার্যক্রমের একটি অংশ। করোনার প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিলাম পরিচালনা করে আসছি। এছাড়া নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংস করে নিলাম শেডের জায়গা খালি করছি। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২১ মার্চ ১৪৫ লট পণ্য নিলামে তোলা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকদিনে শনাক্ত ফের ২শ ছাড়াল চট্টগ্রামে
পরবর্তী নিবন্ধকাউন্সিলর পদে কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সমর্থন